সাফারি পার্কে সিআইডি’র কেমিক্যাল টিম

সাফারি পার্কে সিআইডি’র কেমিক্যাল টিম

প্রাণীর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সোমবার গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন করে পশুখাদ্যের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি হেডকোয়ার্টার থেকে আসা একটি কেমিক্যাল টিম।

গাজীপুর সিআইডি’র এসপি মো. রিয়াজুল হক জানান, সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিআইডি’র এসএসপি ডা. নাজমুল করিম খান-এর নেতৃত্বে আসা টিমটি কোর সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। এসময় তারা পশু খাদ্যের ১২/১৩টি নমুনা সংগ্রহ করেন ও পার্কের স্টাফদের সাথে কথা বলেন। এসময় সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন, গাজীপুর ক্রাইমসিন টিম ও সিআইডি তদন্ত টিমের যৌথ পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অঞ্জন কুমার সরকার।

পরিদর্শনে গিয়ে সিআইডি’র অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পার্কের পশুরা যে খাবারগুলো খেত তা থেকে ১২ থেকে ১৩টি নমুনা নিয়েছি। তাদের বাসস্থান এবং তাদের যারা হ্যান্ডেলিং করতেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা নিয়েছি। আমরা চাই যে সিআইডি’র যে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ফরেনসিক ও বায়োল্যাব রয়েছে তার ফ্যাসালিটি ব্যবহার করে সাফারি পার্কে আসলে কি ঘটেছিলো এবং কি কারণে এতোগুলো পশু মারা গেল সে বিষয়টি আমরা উদঘাটনের চেষ্টা করবো। একই সঙ্গে এখানে কোন ক্রিমিনাল এক্টিভিটিস ছিলো কি-না, ক্রিমিনাল ইনটেনশনাল কাজ করেছিলো কি-না, কোন অপরাধ মানসিকতা কাজ করেছিলো কি-না, এ বিষয়গুলো আমরা খুঁটিয়ে দেখবো। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য আমরা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। আমরা এসব বিচার বিশ্লেষণ করে হয়তো একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।

এসময় তিনি আরও বলেন, আসলে সাফারি পার্কে কি ঘটেছিলো। সামনে আমাদের কি করা দরকার, যাতে এ ধরণের ঘটনা সামনে আর না ঘটে। মূলত: পার্কের যেসব জায়গা থেকে আমরা সন্দেহ করেছি খাদ্যে কন্টামিনেশন হতে পারে সেসব জায়গা থেকে আমরা ১২/১৩টি স্যাম্পল নিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা অন্য ভালো ল্যাবের এক্সপার্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কনসাল্টেন্সী নেব। আশা করি এসব স্যাম্পল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পার্কের প্রাণীগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের হবে।


পিআর/বিজি