সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর দুর্নীতির বয়ান

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ব্যাংক খাতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। তার প্রভাব ও কারসাজির মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, including Pique Haldar-led schemes, লুটপাট করা হয়েছে।
এসকে সুর চৌধুরী ব্যাংকের দায়িত্বশীল পদে থেকে ব্যাংক খাতের নীতিমালা পরিবর্তন, অবৈধ ঋণ ছাড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার আমলে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প গ্রুপকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এসকে সুর চৌধুরীর কার্যকলাপের মধ্যে প্রধান ছিল পিকে হালদার চক্রের সঙ্গে সম্পর্ক। তার তত্ত্বাবধানে, পিকে হালদার প্রভাবশালী গ্রুপের মাধ্যমে অর্থ লোপাট করেন এবং তা বিদেশে পাচার করেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিশ্রুতি বিপর্যস্ত করেন।
২০১২ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে এসকে সুর চৌধুরী ব্যাংক খাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। বিভিন্ন দালাল, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, যা দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহারকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
২০১৫ সালে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা প্রদান, যার মাধ্যমে ব্যাংক খাত ধ্বংস হয়ে যায়, তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসকে সুর চৌধুরীকে ২০১৮ সালে অবসরে যাওয়ার পরও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা বজায় ছিল। তার কর্মকাণ্ডের জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক নেতাকেই দায়ী করা হয়, যারা প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তার নানা অনিয়মকে সমর্থন করেছিলেন।
দুদক সম্প্রতি এসকে সুর চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে এবং তিনি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে সর্বত্র আহ্বান জানানো হচ্ছে।