ঈদুল আযাহার আগে নৌযান শ্রমিকদের বোনাসসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ এবং সড়ক ও নৌপথে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দশনা বাস্তবায়নে নৌযান মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসন। বেতন-ভাতা নিয়ে ঈদের আগে নৌযান সেক্টরে যাতে নতুন করে কোন অস্থিতরতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য বরিশালে ঈদপূর্ববর্তী এক প্রস্তুতি সভায় লঞ্চ মালিকদের প্রতি এই অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ওই অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সব সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার সভায় অভিযোগ করেন, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চগুলোর মধ্যে আগে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। বৈরী আবহাওয়া ও প্রচন্ড খর¯্রােতা নদীর মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে গিয়ে সম্প্রতি মেঘনায় একাধিক লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। এর জবাবে জেলা প্রশাসক অভিযুক্ত পরাবত লঞ্চের মাষ্টারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বন্দর কর্মকর্তা মিঠু আরও অভিযোগ করেন, নৌযানগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও সেগুলো বিকল। নারী ও পুরুষ যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই বেশীরভাগ লঞ্চে। এ সমস্যাগুলো আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে সমাধানের জন্য লঞ্চ মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
বিআরটিসি বাসের মান এবং সেবা নিয়ে সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান সভায় উপস্থিত বিআরটিসি প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের বাসের ছাদ থেকে পানি পড়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান করুন। না হলে ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবস্থা নেবে’।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদে সড়ক ও নৌপথে টিকেট কালোবাজারী রোধে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে। জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হবে।