অনলাইন হাটে ২৭ হাজার গরু-ছাগল বেচাকেনা

করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চালু হওয়া অনলাইন হাট থেকে ২৭ হাজার গরু-ছাগল ও অন্যান্য পশু বেচাকেনা হয়েছে। এছাড়া, অনলাইন হাটে ছবি দেখে ক্রেতারা সরাসরি কৃষকের বাড়ি ও খামার থেকে এর তিনগুণের বেশি গরু কিনেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার ‘ডিজিটাল হাট’ ও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে বলা হয়, আজ দুপুর পর্যন্ত অনলাইনে ২৭ হাজার কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিটাল হাট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ও ই-ক্যাব সদস্যদের অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া গরু, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০।
কোরবানি ঈদের একদিন বাকি থাকতে জেলাভিত্তিক সরকারি প্ল্যাটফর্মে কমপক্ষে ৫ হাজার ৫০০ গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি ৫১৭টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে নরসিংদী জেলায়।
ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত কোম্পানির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯ হাজার এবং ফুড ফর নেশন থেকে চার হাজার কোরবানির পশু।
এছাড়াও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও ৫০০ গরু বিক্রি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ই-ক্যাব ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ১১ জুলাই থেকে চালু হয় ডিজিটাল হাট।
ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করায় ডিএনসিসি, আইসিটি ডিভিশন, ই-ক্যাব, আইএসএসএল, ধানসিঁড়ি ও সাদিক এগ্রোসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ‘ধন্যবাদ’ জানান ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে সব সময় পশুর মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আতিকুল বলেন, প্রান্তিক চাষিরা যেন মূল্যটা পায় তাও আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা ক্রেতাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ক্রেতাদের সুবিধা এবং উদ্যোক্তাদের সুবিধা দুটোই আমাদের দেখতে হয়েছে। শুধুমাত্র ডিজিটাল হাট প্লাটফর্ম ঘিরে এবার বেশ কয়েকজন নতুন অনলাইন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।”
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, এই বিশাল কর্মযজ্ঞে ধাপে ধাপে মান বজায় রাখতে হয়েছে। বিশেষ করে নতুন এই অনলাইন ব্যবস্থায় ক্রেতাদের অভ্যস্ত করার জন্য তাদের সন্তুষ্টিকে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।
অন্যদের মধ্যে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, এটুআইয়ের হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি, যাচাই ডট কমের প্রধান নির্বাহী আজিজুল হক, আজকের ডিলের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর, রেইন ফরেস্টের প্রধান নির্বাহী জাহিদুজ্জামান সাইদ এবং ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব রাহুল অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।