অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না বরিশালে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে বলেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।

শুক্রবার  (১২ আগস্ট) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া,চুড়ামন,রামকঠী সহ বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা  পরিদর্শন এবং চলমান কাজের নির্দেশনা প্রদান করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের সাথে তিনি তাদের দুঃখ দূর্দশার কথা শোনেন।নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও বাঁধ পরিদর্শন শেষে নদীর তীরে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, নদীর অব্যাহত ভাঙনে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। তেমনি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি, সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য স্থাপনা, হাট-বাজার, নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, মসজিদ ও গাছপালা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নদীরক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া নদী শাসন ও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করেও কাজ শুরু করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন,বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু।

প্রতিমন্ত্রী নদী ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না। নির্ধারিত বালু মহাল ছাড়া অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রতিমন্ত্রী বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও বাঁধ নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দেন। জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই নদী ভাঙন কবলিতদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নদী ভাঙা ও বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে একদিকে তিনি নদী শাসন ও আরেক দিকে তিনি নদীতে ড্রেজিং করেন।প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যে যে স্থানে ভাঙছে সব জায়গাতেই শক্তিশালী টেকসই বাঁধ দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে বাংলাদেশে দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়।