অবৈধ লেনদেন নিয়ে সতর্ক করলো ডিপিই

অবৈধ লেনদেন নিয়ে সতর্ক করলো ডিপিই

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে প্রদান করতে আইবাস++ এ অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও ইএফটির মাধ্যমে বেতন তুলতে অনলাইনে চলছে তথ্য হালনাগাদ। কিন্তু অনেক উপজেলায় শিক্ষকদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষক সমিতির নেতা ও উপজেলা থানা শিক্ষা অফিসের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনৈতিকভাবে আর্থিক লেনদেন করছেন।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাটা এন্ট্রির কাজে কোন প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। এ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে চারজন ফোকাল পয়েন্টারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর যুক্ত করা হয়েছে।

এই চারজন ফোকাল পয়েন্টারের একজন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও রাজস্ব) মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আইবাসে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দিনরাত কাজ করা হচ্ছে। অথচ একটি শ্রেণি ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে ব্যস্ত আছে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেবো।’

কতগুলো অভিযোগ পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পটুয়াখালী জেলার মীর্জাগঞ্জের একটা অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে আমাদের ডাইরেক্টর (পরিচালক) স্যার অবগত হয়েছেন। রোববার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ‘আগে এজি অফিসে পে ফিক্সেজনের জন্য ঘুষ দিতে লাগত। এখন যদি ইএফটিতেও ঘুষ দিতে লাগে তাহলে অনলাইনের কারণে কি উপকার হলো?’

তিনি অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহ জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ৩০০ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘এমন একটি ঘটনার কথা শুনছি, ফেসবুকেও দেখছি। কিন্তু আমাদের সমিতি অনৈতিক কোন কার্যক্রমকে সমর্থন করে না। সমিতির কেউ যদি এমন কিছু করে থাকেন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।