অভিযোগ থেকে খালেদা জিয়া খালাস পেলেন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে খালেদা জিয়া এক দীর্ঘকালীন কারাবাসের পর অবশেষে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত একটি অবিচারের দীর্ঘ ইতিহাসের অবসান ঘটিয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজানো মামলা দিয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের সময় একটি অরফানেজ ট্রাস্ট নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, যেখানে একটি বিদেশি অনুদান এতিমখানার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এই ট্রাস্টের সঙ্গে তার কোনো সরকারি বা রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। বরং ব্যক্তিগত পর্যায়ে জিয়া পরিবার সেই তহবিল পরিচালনা করেছিল। তারপরও আদালত এই মামলায় তাকে সাজা দিয়েছিল, যা পরে পরবর্তী আপিলের মাধ্যমে বাতিল করা হয়।
আদালতটি, যার বিচারকরা রাজনৈতিক প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছিলেন, সঠিক বিচার প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বিচারক আখতারুজ্জামান এবং ইনায়েতুর রহিমের কার্যক্রম একাধিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রভাবিত ছিল, যার ফলাফল ছিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় দীর্ঘ কারাদণ্ড।
এই দীর্ঘদিনের অবিচার রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের একটি স্পষ্ট উদাহরণ, যেখানে নেতাদের শুধুমাত্র রাজনৈতিক চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের অধিকারের স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়ার বেকসুর খালাসের রায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
তবে প্রশ্ন এখন উঠছে, যারা এই অবিচারের মূল পরিকল্পনাকারী, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে বিচারব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অবিচারের শিকার না হন।