অযথা মানুষের ভীড় করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেছেন, দিন-রাত পরিশ্রম করেও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। ঠুনকো অজুহাতে মানুষ বাইরে বেড়িয়ে আসছে। অনেক সময় লকডাউন কেমন হচ্ছে সেটা দেখতে মানুষ ভীড় করছেন। এইভাবে যথেচ্ছার ঘোরো ফেরার কারণে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। করোনা ঠেকাতে আমাদের চেষ্টার বাইরে, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব, সেনাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু মানুষ সেই চেষ্টার সঙ্গে না থাকলে ঝুঁকি কমবে না বরং বাড়বে। অযথা মানুষের ভীড় করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মানুষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
জিয়াউর রহমান বলেন, প্রশাসন চেষ্টা করছে মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকেন। কিন্তু এমন সব অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তখন প্রশাসনের কিছু করার থাকে না। কখনো অষুধের দোহাই, কিংবা বাবা-মা অসুস্থ্য এবং মারা গেছে এমন কথা বলা হচ্ছে। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে সত্যও ঘটছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বের হচ্ছে মানুষ। তাদের ঠেকাতে না পারলে আমাদের ঝুঁকি কমবে না। একই সঙ্গে করোনা সম্পর্কে ভীতি না ছড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। সব সময় হাত-মুখ সাবান পানিয়ে ধোয়ার অব্যাস করতে হবে।
জিয়াউর রহমান বলেন, সারা দেশে আমাদের বাইরে, ডাক্তার, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী যখন ঝুঁকি নিয়ে মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বলছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। বাড়িতে থাকতে। লকডাউন মানতে। অথচ রাস্তায় বের হলে মানুষের ভীড়। বাজারে বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে, তারপরও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আসলে কেবল প্রশাসনিক ব্যবস্থা কিংবা জেল জরিমানা দিয়ে করোনা মোকাবেলা করা কঠিন। এর সঙ্গে নাগরিকদের সম্পৃক্ত হতে হবে। সবার সহযোগী হয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে অংশ নিতে না পারলে করোনার ঝুঁকি কমানো কঠিন হবে।