অ্যাওয়ার্ড পেল ইভ্যালি

ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে দেশীয় ই-কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডটকম ডট বিডি। ফুড ডেলিভারি সেবা ই-ফুড এর জন্য এই সম্মাননা পুরস্কার পায় প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার রাতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং ১২ ব্যক্তিকে ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
করোনা মহামারীর সময়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
রাজধানীর পূর্বাচলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আজকের এই ইভ্যালির পেছনে আমার অনুপ্রেরণা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন আমাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছে।
তিনি জানান, ইভ্যালি এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই চারটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এর মধ্যে ইভ্যালির ৪০ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছে এবং ২৫ হাজার বিক্রেতা রয়েছে।
ই-ফুড নিয়ে রাসেল বলেন, ই-ফুড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রায় এক হাজার ৫০০ নিবন্ধিত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার ফুড ডেলিভারি দিয়ে থাকে ই-ফুড।
অন্যদিকে ই-বাজারেও গ্রাহকেরা নিজেরাই নিজেদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। আর ই-খাতায় ব্যবসায়ীরা তাদের দৈনন্দিন হিসাব রাখতে পারেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সংকটের সময়ে প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। করোনাকালে তরুণরা, ই-কমার্স উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে নগদ, ইভ্যালি, মিনা বাজার, স্বপ্ন ইত্যাদি যেভাবে এগিয়ে গেছে, আগামী দিনে তারাই অ্যামাজন, আলিবাবার মতো জায়ান্ট-এ পরিণত হবে।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ই-ক্যাবের ১৩০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আলো/ভিঅ/১২/২০২০