আগৈলঝাড়ায় কাস্টম্স কর্মকর্তার চাঁদাবাজি ও খাবার বিল না দেয়ার অভিযোগ

বরিশাল কাস্টম্স এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তা পরিচয়ে আগৈলঝাড়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী ও খাবার হোটেলের বিল না দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
স্থানীয় ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে কাস্টম্স এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তা পরিচয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রোমান হাওলাদার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসান তনয়, সাব-ইন্সপেক্টর হানিফ হাওলাদার ও অপর একজন উপজেলার বিভিন্ন মিস্টির দোকান, আইস্ক্রিম ফ্যাক্টরী, ডিলার, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আদায়ের কথা বলে তাদের কাছে নগদ অর্থ দাবি করেন।
বাবু ফকিরের আইস্ক্রিম ফ্যাক্টরীতে গিয়ে তাদের গাড়ী ভাড়া বাবদ অনৈতিকভাবে ৬ হাজার টাকা দাবী করে টাকা নিয়ে হোটেল চান-এ দেখা করতে বলেন।
ওই কর্মকর্তারা থানা কম্পাউন্ডের সামনে হোটেল চাঁন এ গিয়ে দুপুরের খাবার খায়। খাবারের বিল চাইলে তারা বিল না দিয়ে নিজেদের কাস্টম্স এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিল দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোটেলের মালিক চান মিয়া শাহ জানান, দুপুরে তার হোটেলে চার জনে খাবার খায়। বিল চাইলে তারা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজেদের কাস্টম্স এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এর আগেও তারা কয়েকবার তার হোটেলে এভাবে খাবার খায়।
কর্মকর্তাদের এহেন কর্মকান্ড ও প্রতারণায় স্থানীয় উত্তপ্ত লোকজনের তোপের মুখে পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রুমে যেতে বাধ্য হয় ওই কাস্টম্স এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তারা।
নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন তাদের অর্থ দাবির ফোন রেকর্ডিং শুনে তাৎক্ষনিক তিনি (ইউএও) তাদের উর্ধতন কর্মকর্তা বরিশাল সার্কেল অফিসার তারিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে জানান, সাব-ইন্সপেক্টর হানিফ হাওলাদারের গাড়ী ভাড়া চাওয়ার রেকর্ড তিনি শুনেছেন। তা শুনে তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি তিনি জানিয়েছে। বরিশাল সার্কেল অফিসার তারিকুল ইসলামের কাছ থেকে পরে ইউএনও জেনেছেন যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানা জায়নি।