আমতলীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ আহত ৪
বরগুনার আমতলী পৌরশহরের বাঁধঘাট বটতলা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সংঙ্গ না দেওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পৌর কাউন্সিলরসহ ৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান মুন্সির পুত্র আল খালিদ রিশান ঢাকার একটি পলিটেকনিক্যাল কলেজে লেখাপাড়া করে। করোনার কারনে কলেজ বন্ধ থাকায় বর্তমান বাড়ীতে অবস্থান করছে। পৌরসভার বটতলা এলাকার জিসান, নাদিম, জাহিদুল ইসলামসহ ৮/ ১০ জনের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রিশানকে তাদের সাথে সঙ্গ দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। রিশান তাদের সাথে সঙ্গ দিতে রাজি না হয়ে কিশোর গ্যাংদের এমন আচরণের বিষয়টি তার বাবা সিদ্দিুকর রহমানকে জানায়। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল তালুকদার পালন পালন করেন বলে দাবী করেন রিশানের বাবা সিদ্দিকুর রহমান মুন্সী।
আজ (রবিবার) দুপুরে কলেজ ছাত্র রিশানের বাবা সিদ্দিকুর রহমান মুন্সী পৌর কাউন্সিলর জুয়েলের কাছে মুঠোফোনে তার পালিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য কর্তৃক তার পুত্রের সাথে খারাপ আচরণের বিষয়টি জানায়। এনিয়ে সিদ্দিক ও কাউন্সিলর জুয়েলের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। এ ঘটনার পরপরই কাউন্সিলর জুয়েল বাঁধঘাট বটতলা রয়েল রেস্তোরায় আসেন। ওই হোটেলে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জিসান, নাদিম, জাহিদুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি, পুত্র রিশান ও স্ত্রী হোসনে আরা বেগম আহত হয়। এসময় রয়েল রেস্তোরা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
আহত সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি বলেন, কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েলের পালিত কিশোর গ্যাং জিসান, নাদিম, জাহিদুল ইসলাম আমার কলেজ পড়–য়া পুত্রকে তাদের সাথে সংঙ্গ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আমি বিষয়টি কাউন্সির জুয়েলকে জানিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর জুয়েল ও ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অহেতুক আমার সাথে তর্ক শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা আমার গায়ে হাত দেয়। সংবাদ পেয়ে আমার স্ত্রী শিক্ষিকা হোসনে আরা ও পুত্র আল খালিদ রিশান ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, রয়েল রেস্তোরায় কাউন্সিলর জুয়েল ও সিদ্দিকের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
অপর আহত কাউন্সিলর জাহিদুুল ইসলাম জুয়েল দাবী করেন, সিদ্দিুকর রহমানের স্ত্রী হোসনে আরা ঘটনাস্থলে এসে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে আমার লোকজনের উপর হামলা করেছে। এতে আমি সিদ্দিকসহ ওর স্ত্রী ও পুত্র আহত হয়েছে। এ সময় হোটেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় দফায় সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি আমার অফিস ঘর ভাংচুর করেছে এবং হুমায়ুন নামের আমার এক সমর্থককে মারধর করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ হিমাদ্রী মুঠোফোনে বলেন, আহত ৩ জনকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।