আমতলীতে বাজার সরিয়ে লাভ হয়নি, চিত্র একই

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পৌর শহরের দুটি প্রধান মাছ ও সবজি বাজার স্থানান্তর করে উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোলা মাঠে নেয়া হয়েছে। বাজার দুটি খোলা মাঠে নেওয়া হলেও সেখানেও সেই আগের মত চিত্র। সামাজিক দূরত্বতো দূরের কথা মানুষের মধ্যে নেই কোন সতর্কতাও। করোনাভীতিকে উপেক্ষা করে তারা গাদাগাদি ও ভীর করে করছেন কেনাকাটা করতে।
জানাগেছে, উপজেলায় ইতিমধ্যে একজন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুবরণ করেছেন। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন মরনঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে ও সামাজিক দূরত্ব রাখতে আমতলী পৌর শহরের প্রধান দুটি মাছ ও সবজি বাজার স্থানান্তর করে উপজেলা দুটি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোলা মাঠে নিয়ে গেছে।নতুন বাজার মাছ ও সবজি বাজার সরকারী আমতলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে ও পৌরসভা সংলগ্ন মাছ ও সবজি বাজার সরকারী একে হাই স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত দুই দিন ধরে সেই মাঠেই বাজার বসছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে সরকারী একে হাই স্কুল মাঠে গিয়ে দেখাগেছে, উপরের নির্দেশনায় দূরত্ব মেনে মাছ ও সবজি নিয়ে বিক্রেতারা বসলেও ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে যথারীতি ভীর করে শরীরের সাথে শরীর মিশিয়ে কেনাকাটা করছেন। বিক্রেতারাও ক্রেতাদের দূরত্বে থাকার জন্য কিছু বলছেন না।
কথাহয় বাজার করতে আসা ক্রেতা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা গৃহবধূ সালেহা বেগমের সাথে, তিনি বলেন, বাজার করতে আসা পুরুষরাই তো সামাজিক দূরত্ব মানে না আমি একা মেনে কি করবো।
অপর ক্রেতা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা খবির উদ্দিনের সাথে তিনি জানান, করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাছ ও সবজি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা আগের মতই রয়ে গেছি। যে উদ্দেশ্য বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে ভাবা ঠিক না। আমরা কেহই সামাজিক দূরত্ব মানছিনা। দূরত্বে থাকার বিষয়ে কাউকে কিছু বললেও তারা মাইন্ড করে।
পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, সারাদেশে মরনঘাতি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের আমতলীতেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাগেছে। সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হচ্ছে। সে কারনে আমতলী পৌরশহরের দুটি প্রধান মাছ ও সবজি বাজার স্থানান্তর করে খোলা মাঠে নিয়েছি। তারপরেও যদি মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখেন তাহলে আমাদের এ বাজার দুটো স্থানান্তর করে কি লাভ হলো।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য। যাতে করোনা সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে। মানুষকে এত সচেতন করার পরেও মানুষ যদি এসব না মেনে চলে তাহলে আমরা আর কি করতে পারি। তিনি আরো বলেন, মানুষের ভালোর জন্য বাজারগুলো স্থানান্তর করে খোলা মাঠে নিয়ে যদি একই চিত্র আমাদের দেখতে হয় তাহলে দুঃখ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।