আশিক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম

ইসলামী বিশ্বদ্যালয়ে (ইবি) স্বতন্ত্রভাবে অনুষ্ঠিত ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় পাশের হার ৭৯ শতাংশ। পরীক্ষায় সর্বমোট ১০৮ দশমিক ৫১ নম্বর পেয়ে পেয়ে প্রথম হয়েছেন আশিক মিয়া। তার বাড়ি গাজিপুর জেলায়।
জানা গেছে, আশিক মিয়া গাজিপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার হয়দেবপুর গ্রামের তাফাজ্জল খান ও নাছিমা খাতুন দম্পতির ছেলে। গাজিপুরের গলদা পাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে এস.এস.সি (দাখিল) পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৯৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সে। পরে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচ.এস.সি (আলিম) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় আশিক।
রোববার (১২ মে) সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন ইউনিট সমন্বয়কারী ও ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। তিনি জানান, ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত চারটি বিভাগে ৩২০টি আসন রয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ১ হাজার ৭৭৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাশ করেছেন ১৪০৬ জন ভর্তিচ্ছু। পাশের হার ৭৯ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তিনটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি শেষে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। পরীক্ষায় ৬৮.৭৫ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে আশিক। দাখিল (এসএসসি) ও আলিম (এইচএসসি)-এর জিপিএসহ ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত মোট নম্বর ১০৮ দশমিক ৫১।
উল্লেখ্য, ৮০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত 'ডি' ইউনিটের অধীন চারটি বিভাগে (আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য) এই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। চারটি বিভাগে ৩২০টি আসনের বিপরীতে সারা দেশ থেকে আবেদন করেন ১ হাজার ৯০৬ জন শিক্ষার্থী। গত ১১ মে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই একাডেমিক ভবনে 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।