ইউএনওর বাসার সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচারের দাবি : মেয়র সাদিক

ইউএনওর বাসার সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচারের দাবি : মেয়র সাদিক

ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এছাড়া নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং ইউএনওর বাসার সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচারের দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেছেন, আমি অন্যায় করে থাকলে আমার এ চেয়ারে থাকার অধিকার নেই। আমর বিচার করবেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার রাত পৌনে ৭টায় বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনের সামনে।

মেয়র প্রশাসনকে বিসিসি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অভিযান না চালানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, তাদের বাড়িতে অভিযান চালালে তারা কোনভাবে কাজ করতে পারবে না। এতে করে দুর্ভোগে পড়বে নগরবাসী। তারা যাতে নগরবাসীর সেবা করতে সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ সময় মেয়র নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বিসিসি’র কর্মীদের ময়লা পরিস্কারের নির্দেশ দেন।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা যারা আন্দোলন করছেন, তাদেরকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাই। এ সময় তিনি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা বিসিসি কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন স্থানে যারা আন্দোলন করছে তাদেরকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেন।

তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শোকের মাসে সকলকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে কোজ কাজ করলে তাতে দলেরই ক্ষতি হবে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচার করুন। এ ঘটনায় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের দু’নেতার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান।

সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি বারবার বলেছি ষড়যন্ত্রের কথা। দায়িত্ব নেয়ার পর তিন বছরের ষড়যন্ত্র চলাকালে একনেকে ১৩০ কোটি টাকা পাস হলেও টাকা পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পেয়েও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনোভাবেই পেরে উঠতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যে এসেছে।

গ্রেপ্তারের আশঙ্কার প্রশ্নে মেয়র বলেন, গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি, বললেই থানায় গিয়ে হাজির হবো। আমার বাসা ঘেরাও করার দরকার নেই। আমি পরিচিত লোক, আমি দলের সাধারণ সম্পাদক, আমার চেহারা বাংলাদেশের সবাই চেনে, আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। এটা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়ি, এ বাড়িতে আমাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে।

ব্যানার অপসারণ প্রশ্নে বলেন, ব্যানার লাগানো দলের সিদ্ধান্ত ও অপসারণও দলের সিদ্ধান্ত। এটা দলের ব্যানার, ইউএনও সরকারি চাকরি করেন, এটা বাধা দেয়ার তিনি কেউ না।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্যানেল গাজী নঈমুল ইসলাম লিটুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।