ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বাধা যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বাধা যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে রাশিয়ার দাবি মেনে নিতে বাধা দিচ্ছে। খবর সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।

লাভরভ বলেন, এটি ক্রমাগত অনুভূত হয় যে ইউক্রেন প্রতিনিধিদলের হাত ধরে রাখা হয়েছে, সম্ভবত আমেরিকানরা, তাদের এমন দাবি মানতেও দিচ্ছে না যা আমি মনে করি একেবারে ন্যূনতম।

যদিও লাভরভ পরিস্কার করে কিছু বলেননি যে কোন বিষয়গুলোতে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।

সাম্প্রতিক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন।

লাভরভ আরো বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আরো মজবুত হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে যখন পশ্চিমারা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সমস্ত ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে, তখন অবশ্যই আমাদের দুই মহান শক্তিকে (রাশিয়া ও চীন) এ বিশ্বে কীভাবে চালিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। 

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন। ছীনের পক্ষ থেকে এরপর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সামরিক জোটকেই পরোক্ষে দায়ী করা হয়। 

বিবৃতির অর্ধেকেরও বেশি অংশ জুড়েই রয়েছে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনের ক্ষোভ। এর পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো যেভাবে কেবলই রাশিয়াকে দায়ী করছে, তারও তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।

চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার আলোচনায় চিনপিং বলেন, ‘যুদ্ধে কারও স্বার্থরক্ষা হয় না। শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুই দেশের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতে গড়ানো উচিত নয়’।

সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়া ইউক্রেনে তার আগ্রাসনকে সমর্থন করার জন্য চীনের কাছে সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে। সূত্র: বিবিসি।