ইভিএম মেরামতের টাকা চেয়ে চিঠি দিচ্ছে ইসি

ইভিএম মেরামতের টাকা চেয়ে চিঠি দিচ্ছে ইসি

আগের কমিশনের রেখে যাওয়া ইভিএম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭০-৮০ আসনে ব্যবহার করতে চায় ইসি। তবে দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করতে হবে। মেরামতের জন্য ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছে। এই টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার চিঠি দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।

তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চের বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেয়ার জন্য বলেছি। এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামত করার জন্য ১২ শ ৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। সেটা পাওয়া যাবে কি না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা একটা চিঠি দিতে বলেছি। সেটা রেডি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) যেতে পারে।

আমরা অর্থবছর ভিত্তিক এ অর্থ বছরে অর্ধেক দেয়ার জন্য, পরবর্তী অর্থ বছরে বাকি অর্ধেক দেয়ার জন্য এরকম একটা প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হব। যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, কী করব। ব্যালটে কতটা করব বা ইভিএমে আদৌ করবো কি-না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থপ্রাপ্তির ওপর।

তিনি বলেন, টাকা পাওয়া, না পাওয়াটা যদি আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাই, আগামী সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে যদি পেয়ে যাই তাহলেও কিন্তু হাতে ছয় মাস সময় পাব। অন্যথায় কিন্তু সময় পাব না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। আশা করছি হয়তো সরকার টাকার ব্যবস্থা করবে।

সরকার কোনো বরাদ্দ না দিলে কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এটা আবার কমিশনে আসবে, কমিশন তখন যে সিদ্ধান্ত নেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। সেটা এখন বলার সুযোগ নেই। এখনো সরকার তো পুরোপুরি না করেনি। আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম যে, টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। আর যদি না দেয়, সেজন্য সর্বশেষ একটা চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কতগুলো আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, সেটাও আমরা এখন পর্যন্ত পর্যালোচনা করে দেখিনি। যেগুলো (ইভিএম) আমাদের হাতে আছে সেগুলোসহ ১ লাখ ১০ হাজার মেরামতযোগ্য। আরও ৪০ হাজার মেরামত করলেও সবগুলো আসনে ব্যবহারযোগ্য হবে না। কাজেই আমরা ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমই মেরামত করব। আর যদি আংশিক পাওয়া যায় (অর্থ), সেটা তখনকার ওপর নির্ভর করবে।

এ সময় সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে এখন পর্যন্ত ১৮০টা আবেদন পাওয়া গেছে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, আরও দু-চারটা বিভিন্ন দপ্তরে থাকতে পারে। আবেদনগুলো আসন ভিত্তিক বিন্যাস করা হবে, কোন আসনে কতটি আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে সচিবালয়। আসন ভিত্তিক ভাগ করলে বোঝা যাবে কোন আসনে কতটা আবেদন পড়েছে। এরপর কমিশনে প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না তখন নির্ধারণ হবে।