ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয়

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাড.
বলেছেন, বেশকিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও স্লো ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই সকলকে যারা নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগীতা করেছেন। আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। এটিএম কামালের মতো লোককে ঘেরাও করা হয়েছে গ্রেপ্তার করার জন্য।
রোববার নাসিক নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে পরাজয় হবার খবরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তৈমুর বলেন, আপনারা দেখবেন আমি ঘটনাগুলো আপনাদেরকে জানিয়েছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ককে কাগজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেপ্তার হতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন হেফাজতের মামলা দেয়া হয়েছে সকলকে। এদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায় মুসলমান তো করেই হিন্দুরাও হেফাজত করে। আজ সকাল থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তারপরও জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ঢাকার মেহমানদের অতিরঞ্জিত কথার পরে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুকিপূর্ণ। ১৩ নং ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিনবারের কাউন্সিলর। আর ১২ নং ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ মনে করে তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কোন ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।