ঈদ উদ্যাপনে মহামারী থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি চেয়ে দোয়া

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় ঈদ পালন করছে মুসলিমরা। দ্বিতীয়বারের মতো মহামারীতে ম্লান ঈদুল ফিতরের আনন্দ। বিধিনিষেধের বেড়াজালে অনেকেই ঈদ আনন্দে স্বজনদের কাছে পাননি। ঈদের নামাজও পড়তে পারেনি ঈদগাহে।
শুক্রবার ঈদের দিন সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান।
গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরের বছর ঈদুল ফিতর মহামারীর মধ্যেই পালন করতে হয়। ঈদুল আজহাও যায় করোনা বিধিনিষেধের ভেতর।
ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস থাকার কথা তা এ নিয়ে তিন ঈদে ছিল না। তার ওপর এবার ফিলিস্তিনে মুসলিমদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলে হামলা এবং অবরুদ্ধ গাজায় ঈদের দিনসহ চালানো হত্যাযজ্ঞে বেদনাহত মুসলিমরা।
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। ঈদ জামাত হয়েছে মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
টানা তৃতীয়বার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হয়নি। হয়নি শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও।
তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই হয়েছে দেশের প্রথম ঈদ জামাত। এতে অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি।
নামাজ শেষে মহামারীর থাবা থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি চেয়ে দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বালা-মুসিবত থেকে দেশকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে। এ সময় 'আমিন আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত হয় বায়তুল মোকাররম এলাকা।