উজিরপুরের বড়াকোঠায় জমির বিরোধে গাছ কর্তন, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
উজিরপুরের বড়াকোঠায় শনিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে আমিনুল ইসলাম রাহাত এবং তার সাথে আসা হৃদয় ও সাকিব নামের দুজন গাছ কাটা লেবারের নামে। জমির মালিকানা দাবি করে কাছ কাটতে বাধা প্রদান করে মো. আমির হোসেন সান্টুর স্ত্রী নাসিমা বেগম এবং মো. আকবর হাওলাদারের স্ত্রী রুমা আক্তার। এ নিয়ে উভয়পক্ষ উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার বর্ননায় জমির স্বত্ত দাবিদার নাসিমা বেগম জানান, আমার স্বামী (মো. আমির হোসেন সান্টু) স্থানীয় মুনছুর চকীদারের মেয়ে কহিনুর বেগম এবং শামছুল হক ফকিরের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের নিকট থেকে বড়াকোঠা মৌজার এস.এ ১১১৪, ১১১৭, ৯৫৫ ও ৩১৯ নং দাগ থেকে মোট ২০ শতাংশ জমি দলিলসহ ২০১৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ক্রয় করেন। বিক্রেতারা আপোষ হারাহারি মতে এস.এ ১১১৪ দাগ থেকে মোট ক্রয়কৃত জমির সমপরিমান জমি ভোগ দখলের জন্য দলিল দেন। কিন্তু শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে রাহাত হাং এ জমি তার বাপ-দাদার দাবি করে জমির সমস্ত গাছ লেবার দিয়ে কেটে ফেলে।
অপরদিকে জমির আরেক স্বত্ত দাবিদার রুমা আক্তার জানান, উক্ত বড়াকোঠা মৌজার এস.এ ১১১৪ দাগ থেকে উক্ত মালিকদ্বয়ের থেকে আমার স্বামী (মো. আকবর হাওলাদার) দলিলসহ ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এ জমি থেকে অন্যায়ভাবে রাহাত হাং গাছ কেটে ফেলে।
এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম রাহাত বলেন, এ জমি আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি। সে অনুযায়ী এ জমির মালিকানায় আমার অংশ থাকায় আমার জমির গাছ আমি লেবার দিয়ে কেটেছি।
এ বিষয়ে বিক্রেতা কহিনুর বেগমের মেয়ে তামান্না আক্তার উক্ত জমির ক্রেতাদ্বয়ের স্ত্রী নাসিমা বেগম ও রুমা আক্তারের বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার মা তার বাবার সম্পত্তি উক্ত জমি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাদের দুই ভাইয়ের (মো. আমির হোসেন সান্টু ও মো. আকবর হোসেন) কাছে বিক্রয় করেন ও উক্ত দাগ থেকে ভোগ দখলের জন্য দলিল বুঝাইয়া দেন এবং বিক্রির ছয় মাস পরে আমার মা পরোলোকগমন করেন।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার্স-ইন-চার্জ মো. জিয়াউল আহসান জানান, উভয়পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। উভয়পক্ষকে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর জন্য উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে।