উত্তাল শ্রীলঙ্কার রাজধানী

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানী কলম্বোয়।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ এপ্রিল) কলম্বোর ওয়াটারফ্রন্টের গালে ফেস গ্রিনে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনে অংশকারীদের দাবি- রাজাপাকসে ও তার পরিবারের কোনো সদস্য যেনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকেন।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে করা এই বিক্ষোভে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিনেতা, আইনজীবী ও স্থপতিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন ৭২ বছর বয়সী গোতাবায়া রাজাপাকসে। নানা কারণেই বেশ সংকটে পড়েছেন তিনি। ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এত বড় অর্থনৈতিক সংকট দেখেনি শ্রীলঙ্কা।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে পৌঁছানোয় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। শ্রীলঙ্কাজুড়ে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যন্ত জনজীবন। জ্বালানির তীব্র সংকট আরও খারাপ করেছে পরিস্থিতি।
এমন পরিস্থিতিতেও পদত্যাগের পথে হাঁটবেন না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুখ্য সরকারের হুইপ জনস্টন ফার্নান্দো।
২০২০ সালে শুরুর দুই মাসে রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে যায়। ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে। শুধু তা-ই না, বছরের বাকি সময়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারকে।
প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ মেটানোর জন্য রিজার্ভের ডলার বাঁচাতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে সংকট বাড়তে থাকে।