এ তো রাগ নয়, এ যে অভিমান

এ তো রাগ নয়, এ যে অভিমান

আজ পত্রিকার একটি ছবি দেখে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। মনে হয় যেন ভেবেছি এমন সকল বিষয় নিয়ে, যা আমার ভাবনার সীমানার মধ্যেই নেই। তাই মেলেনি এই ছবির যথার্থ অর্থ শেষ পর্যন্ত। ছবিটা দুঃখ দিয়েছে। কষ্ট এবং ঘৃণার উদ্রেক করেছে। হতাশ করেছে এবং সীমাহীন লজ্জার নিন্দাপংকে নিমজ্জিত করেছে। কেন এমন হলো? কিভাবে মুহূর্তের মধ্যে রূপের এমন পরিবর্তন সম্ভব হয়? কি কারণ? যাদের রূপ দেখে বিমোহিত হতাম, যাদের গুণাগুন আমাদের সমৃদ্ধ করবে ভেবে পাশে দাঁড়াতাম। সে যে কত বড় ভুল ছিলো, তা বুঝতে এতদূর আসতে হলো? এতো সময় লাগলো? যাদের বীরত্বের গল্প শুনে শুনে স্বপ্নের মানুষ বানালাম, আজ বুঝতে বাধ্য হলাম তাদেরই কর্মগুণে, যা শুনেছিলাম সে কেবলই গল্পকথা। এই ব্যক্তিত্বহীনদের মাঝে সেই সত্যের লেশমাত্র নেই! এক ছবি প্রমাণ করে দিলো ওরা সবাই অস্থি মজ্জা, মেরুদন্ডহীন, ফেইক। এ কেবলই এক দলভারীর গল্প। হয়তো জানেন সবাই। হয়তো পড়েছেন কিষান চন্দন এর আমি গাধা বলছি, কিংবা শিয়াল পন্ডিতের গাধার বুদ্ধি।

না, এখনি গল্প নয়। তার আগে একটি বিষয় উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরী। বরিশাল, রত্নগর্ভা যার মাটি। আজ অনেক দিন পরে সেই মাটি আমাদেরই কর্মগুণে বন্ধাত্ব লাভ করেছে! আমাদের অনর্থক ভালোবাসা, অশিক্ষার দম্ভ, রাজনৈতিক ভীতি, পদ পজিশন প্রাপ্তির প্রত্যাশা, এমনটা করেছে বলেই মনে করা যায়। তবে ভালোই হয়েছে শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি, নিকট অতীতে যারা ভারত থেকে অশি^নী কুমারের শ্মশানের মাটি এনে বরিশাল মহাশ্মশানে তার স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছেন। বরিশালবাসীর ব্যাপক কৃতজ্ঞতা কুড়িয়েছেন। আজ সেই তারাই মহাত্মা অশ্বিনীর নামের বিরোধীতায় নেমেছেন প্রকাশ্য রাজপথে। জানি না শ্মশানের অশ্বিনী বেদীটি তারা গুড়িয়ে দিয়েছেন কি না? পথে নেমেছেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা বলে নিজেদের দাবী করেন তারা। যারা যুদ্ধ করে তারা আমৃত্যু যোদ্ধা। সিংহ পুরুষ তারা। মেরুদ- শীরদাড়া সোজা করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবেন তারা। তাঁদের প্রতিটি কর্ম আমাদের অহংকার। এই জাতির নীতিনৈতিকতার দিকদর্শন তারা। তাঁদের এহেন উপস্থিতি আমাদের বিভ্রান্ত করবে। আমরা হারিয়ে যাবো। বাংলাদেশ পথ হারাবে। আমরা যেন কোন দিন ভুলে না যাই, এই বাংলাদেশে এখনো আমাদের সামনে শ্রেষ্ঠ অহংকার এই দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা।

বিস্ময়করভাবে রাস্তায় এসে অশ্বিনী বিরোধীতায় সম্পৃক্ত হয়েছেন ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষক পরিষদের প্রতিনিধি। কি বলবেন এবার, ছি? মহা বিস্ময়করভাবে মহাত্মা অশ্বিনী কুমারের নামের পাশে প্রকাশ্যে দাঁড়ানোর শক্তি এবং সাহস হারিয়েছে মৌখিক অহংকারের দম্ভে ন্যুজ বহু আন্দোলনের অগ্রপথিক ব.সা.স.স.প.। আর সকল বিম্ময় যেখানে এসে স্তম্ভিত হয়ে গেছে, তা হলো এমন বিরোধীতায় ব.সা.স.স.প. এর সম্পাদকের স্বশরীরী উপস্থিতি এবং একাত্মতা ঘোষণা। সঙ্গে পাখনা পালক সেও ছিলো বেশ কিছু। অন্তত পত্রিকায় ছাপানো অশ্বিনী বিরোধীদের ছবিটি সেই কথাই বলে। এতকিছুর পরেও কেউ বলছে না। এই অশ্বিনী বিরোধীতার মূল সুরটি কোথায়? এই যে কেউ বলছে না, এ কথাটি যতদূর সত্য, তার থেকেও অনেক অনেক গুণ বেশি সত্য, বিষয়টি জানেন সবাই। আর যে কারণেই মহাত্মার নামের বিরোধীতাকারীদের এই ছবিটি এই শহরের সঙ্গে লেপটে থাকবে, অনাদী কাল ধরে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেখবে, আঙ্গুল তুলে বলবে, এই ওরা অকৃতজ্ঞের দল, মহাত্মা অশ্বিনী কুমারকে জায়গা দিতে চায়নি এই শহরে!

এই প্রজন্ম আঙ্গুল তুলে বলবে একদিন, নাটকের সেই সংলাপ ‘মেয়াসাব চুপ করেন আপনে, ঐ হালার পুতেগো আর কোন ছাড় নাই। আইজগা সত্যি কতাডা চেয়ারম্যানের কোলে বওয়াইলেও কইয়্যা দিমু। হালার লগে আইজ সত্যি কইয়া ঠগমু, তবু হালার মীরজাফর হমু না’।

অশি^নী কুমারের নামকরণের জন্য উত্থাপিত প্রস্তাব এর পূর্ণতা অর্জন করতে পারেননি বরিশালের কিংবদন্তী রাজনীতিবীদ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। পরবর্তীতে চেষ্টা করেও কামিয়াব হননি বরিশালের কৃতি সন্তান অ্যাড: ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সফলতা পায়নি বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এবং নাগরিকবৃন্দ। মহান জাতীয় সংসদেও এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস। এভাবে দীর্ঘদিন ব্যাপক দাবি তুলেছে ব্রজমোহন কলেজের একমাত্র নাট্য সংগঠন ব্রজমোহন থিয়েটার। যারা আয়োজক ছিলো বাটাজোড়ে অশি^নী মেলার। তারপর অনেক দিন। প্রায় মৃয়মান নিভুনিভু সেই প্রদীপ পুনরায় প্রজ¦লিত করেছে বরিশাল অশি^নী কুমার স্মৃতি সংসদ। তার-ই ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রত্যয়ী রূপ। আর এই রূপ শ্রষ্ঠা বরিশালের মাননীয় জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। একটি নাম বাস্তবায়ন কমিটিও প্রস্তুত হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। চলছে কার্যক্রমের ট্রেন। যারা জটিল অংক কষতে কষতে দেরী করে ট্রেন মিছ করেছেন। তাদের বলছি ছুটে এসে ট্রেন ধরুন। কারো ভয়ে নয়, শ্রদ্ধায়, ভালোবাসার প্রয়োজনে ক্ষণিক গতি কমিয়ে সাথী করা যাবে। এ বিচ্ছেদ নয়। ‘এ যে অভিমান, এ শুধু তোমায় চাওয়া আরো বেশি কাছে পাওয়ার ছলভরা গান’। তা না করে যদি অন্যকোন পথে আমাদের গতি থামানোর চেষ্টা করেন। তবে নাশকতার দায় বহন করবেন। ভুলে যাবেন না যাদের শিশু ভাবেন এখনো, তাদেরও নূন্যতম বয়স পঞ্চাশ অতিক্রম করেছে। আর আপনাদেরকে এখন বৃদ্ধ বললেই বলা যায়। বুঝতে পারি না কিছুতেই, কি যুক্তি, কি বুদ্ধি আছে আওয়ামী রাজনীতির ধারক বাহক হয়েও মহাত্মা অশি^নী কুমারের নামের বিরোধীতার? খবরদার কেউ যেন ভুলেও ভুলে না যাই। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী এখনো জননেত্রী শেখ হাসিনাই।

সার্বিক পরিস্থিতির প্রয়োজনে একটি কথা হঠাৎ মনে এলো। আপনাদেরও স্মরণে আছে নিশ্চয়ই। এই শহর বরিশালের আদী অকৃত্রিম নোংড়া, আবর্জনা, জঞ্জালে ভরা ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাটের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়ে, এক অভুতপূর্ব অসাধারণ অধুনিক শহরে রূপান্তর করেছিলেন মেয়র শওকত হোসেন হিরণ। আজকে যারা অশ্বিনী বিরোধীতায় রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রায় সকলেই তখন তার আশপাশের লোক ছিলেন। কোন না কোন সুবিধার প্রয়োজনে। এই শহরের ব্যাপক উন্নয়নের পর দ্বিতীয় বারের করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হলেন শওকত হোনের হিরণ। সকলের ধারণা ব্যাতিক্রম কিছু ঘটবে এবারের এই নির্বাচনে। এই প্রথম কোন নির্বাচনে (হিরণের জন্য দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচন) আওয়ামী প্রার্থী জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন এটি প্রায় নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু হলো না। পরের দিন খুব ভোরের খবর আমরা পরাজিত হয়েছি। কেউ বলল এটা আত্মহনন, কেউ বললো সাবোটাজ! আমরা বিস্মিত দুঃখিত এবং লজ্জিত হলাম। বিজয়ী হলো এক অস্বচ্ছ রাজনীতি। আমার এক শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলাম ‘স্যার এমনটা কেন হলো’? আমার সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেছিলেন ‘দেখো, আতালের গরু সে যদি নিজে শকুন ডেকে আনে তারে গৃহস্থ বাঁচায় কেমনে’? তারপর অনেক দিন বাদে, এবার অশি^নী কুমারের নামের বিরোধীতাকারীদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ এবং সংবাদ সম্মেলনের পর আমার বারবার সেই শিক্ষকের কথাই যেন মনে পড়তে লাগলো। ইতিমধ্যেই সেই ভুলের পথ ধরে শকুনের অনুপ্রবেশ নিশ্চিত হয়েছে। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখেছি সেই দৃশ্য। সাবধান হওয়া অতি জরুরী এবং দ্রুত। নয়তো ওরা নৌকা ফুটো করে দেবে। সেই ক্ষতি সামাল দেবে কে?

বর্তমান জেলা প্রশাসকের এমন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগের কারণে যদি কেউ ব্যাথিত হয়ে থাকেন, তবে তার সমাধানের পথ আরো বুদ্ধিদীপ্ত হওয়া প্রয়োজন ছিলো। পৃথিবী, সময় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার রাজনীতি প্রতিদিন সময়োপযোগী ও আধুনিক হচ্ছে। সুতরাং কোন পশ্চাৎপদতা দিয়ে মানুষের যৌক্তিক দাবি কিংবা কোন প্রয়োজনের নোংড়া বিরোধীতা বাঞ্ছনীয় নয় একেবারেই। আমরা এই শহরের সময়ের আধুনিক নেতার অশি^নী বিরোধীদের প্রতি সিংহনাদ শুনতে চাই। যিনি জনপ্রয়োজনে প্রকাশ্য রাজপথে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করবে ‘এই তোরা কারা অশি^নী নামের বিরোধীতা করিস’?

শুরুতে যে গল্পটা বলতে চেয়েছিলাম কিছু প্রাসঙ্গিকতায় দেরি হয়ে গেল। গল্পটা আপনাদের জানা, অনেকটা এরকম- ‘বনে খবর ছড়িয়ে পরলো সিংহদের একটা মিছিল আসছে। খবরটা শুনে বনের পশু পাখিরা যে যেখানে ছিলো ছুটে এসে হাজির হলো বনের পথের দুই ধারে। চলছে সমালোচনা, কথা, চিৎকার, চেচামেচি। হঠাৎ এক বানর গাছের উপর থেকে এক ইশারা ছুড়ে দিয়ে জানালো- আসছে। মুহূর্তেই সব চুপ, শুনশান নীরবতা চারিদিকে। পশুরাজ বলে কথা। তার কথার বাইরে গেলেই যাবে গর্দান কাটা। দূর থেকে ক্রমেই কাছে, ধীরে ধীরে সবাই নতজানু কুর্নিশরত। একসময় মহারাজ সিংহ সবাইকে পিছনে ফেলে সামেন চলে গেল। মুহূর্তেই সকল নীরবতা ভেঙে এক গাধা তার সঙ্গীকে প্রশ্ন করলো, আচ্ছা আমরা গাধারা সংখ্যায় তো বেশ। তা হলে আমরাও অমন একটা মিছিল করতে পারি না? মহারাজ একা হেটে গেলেন তাতেই আমরা এতো ভীড় করলাম। আমাদের মিছিলে তো আরো ভীড় হবে। সবাই পথে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখবে, বেশ একটা রাজা রাজা ভাব জন্মাবে শরীরে। কথাখানা শেষ হতেই এক গাধা লাফিয়ে উঠে বললো, এটা বেশ দারুন প্রস্তাব। কে বলেছে গাধাদের বুদ্ধি নেই? আলবত মিছিল করবো আমরা। শুধু মিছিল নয়, পথে যখন নামবো দু চারখান কথাও কিন্তু বলতে দিতে হবে আমাদের। সব শুনে এক বৃদ্ধ গাধা বললো, শখ যখন হয়েছে তখন করো মিছিল। শুধু ভেবে দেখো একখানা পোশাক পরে নেবে কি না? এবার সমস্বরে সব গাধারা বলে উঠলো ঠিক বলেছো গাধা দাদু - দারুন বলেছ কথাখান। একেবারে যথার্থ গাধার বুদ্ধি। সবাই ভাবতে বসে গেল কি পোশাক হবে। নানান গাধার নানান যুক্তি। এক গাধা বললো পোশাকটা হরিণের হলেই ভালো হয়। বাধ সাধলো অন্য জন বললো আরে গাধা হরিণ সেজে বনে দাঁড়াবি? বাঘ এসে এক থাবায় ঘারটা ছিড়ে নিয়ে যাবে। তখন গাধা দাদু বললো সাজবি যখন রাজাই সাজ। ঠিক হলো অবশেষে সিংহের পোশাক পরেই গাধারা মিছিল করবে। যেমন কথা তেমন কাজ। শুরু হলো গাধাদের সিংহ রূপের মিছিল।

ঘোষণা শুনে পশু-পাথিরা সবাই হাজির। ব্যাপক ভীড় বনের পথে পথে। বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব। তবে সবার ভিতরে একই প্রশ্ন, এরা কারা? এক বনে এতো সিংহ এলো কিভাবে? এক বনে এতো রাজা কেন? এভাবে অনেক প্রশ্ন সঙ্গে নিয়ে বেশ ভাব গাম্ভির্যের সঙ্গে রাজারূপী গাধারা মিছিল নিয়ে চললো সম্মুখপানে। হঠাৎ কি জানি কি হলো। পুরো মিছিল থমকে দাঁড়ালো। সবার ফিঁসফাঁস প্রশ্ন কি ব্যাপার কি হলো? ধীরে ধীরে দেখা গেলো সম্মুখেই বসা ছিলো সিংহরাজ। সে উঠে দাঁড়ালো। ঘার বাঁকিয়ে প্রশ্ন করলো- তোরা কারা? ততক্ষণে গাধারা সবাই ভিতরে ভিজে সারা। এক গাধা অতি সাহসে ক্ষীণ স্বরে বললো, আমরা সিংহের দল মিছিল করছি দেখতে পাচ্ছো না। সিংহ তখন রূদ্ররূপ ধারণ করে গর্জন করে বলে উঠলো- চুপ কর গাধার বাচ্চা। মুহূর্তেই সব গাধাদের শরীর থেকে সিংহের বস্ত্র পরে গেল। সব গাধারা বিবস্ত্র হলো-

দূরে বসে এই দুঃসাহসী মিছিলের বর্ণনাটা লিপিবদ্ধ করছিলোন শিয়াল পন্ডিত। সিংহের গর্জনে মিছিলটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলে, পন্ডিত তার খাতায় শেষ লাইনটা লিখেছিলো- আরে গাধার বাচ্চারা রাজা সাজতে গেলি কেন গাধা সেজেই তো মিছিলটা করতে পারতি। শুধু মহারাজকে দেখে একবার কুর্নিশ জানালেই তো হতো।

এটি নিছকই গল্প। তবু আমরা গল্পের রাজার হুঙ্কারের অপেক্ষায় থাকবো। যে এসে সবার উর্ধ্বে গলা তুলে বলবে ‘তোরা কারা বিরোধীতা করিস মহাত্মার নামের?
সেদিন বন্ধ হয়ে যাবে এখনো যারা বলছে যা তা,
মাথা তুলে যেখানে দাঁড়াবেই
সত্য  প্রেম  পবিত্রতা।


||আজমল হোসেন লাবু ||