এগিয়ে আসেনি কেউ, লাশ দাফন করলেন চিকিৎসক-স্বেচ্ছাসেবীরা

লক্ষ্মীপুরে জ্বর ও অসুস্থজনিত কারণে চাঁন মিয়া (৪০) নামে এক ইটভাটা শ্রমিক মারা যাওয়ার পর তার লাশ দাফনে যখন এলাকার কেউ এগিয়ে আসেনি, তখন এগিয়ে এলেন খোদ চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফাজিল বেপারীরহাট এলাকায়।
জানা গেছে, ৪ সদস্যের স্থানীয় চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল টিম ও ৬ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল ধর্মীয় সব রীতিনীতি মেনে গোসল ও জানাজা শেষে লাশ কাঁধে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে। তবে এসময় করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় আতঙ্কের ওই মৃত্যুতে চাঁন মিয়ার লাশের পাশে স্বজনরা ভয়ে ছিল না বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, চাঁন মিয়া ফেনীর এক ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার তিনি ফাজিল বেপারীর হাট এলাকায় তার বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ তিনি মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে। এদিকে করোনা সন্দেহে গভীর রাত পর্যন্ত তার লাশ দাফন করেনি তার পরিবার। এগিয়ে আসেনি তার আত্মীয়-স্বজন কিংবা এলাকাবাসী। খবর পেয়ে স্থানীয় পাটোয়ারীর হাট এলাকার ৪ সদস্যের স্থানীয় চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল টিম ও ৬ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল এগিয়ে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম রাজিব ও মেডিকেল টিমের আরও ৪ সদস্য তার গোসল ও জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করেন।
জানতে চাইলে ডা. রেজাউল করিম রাজীব বুধবার রাত ৮টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত তার লাশ দাফন হয়নি। পরে বিষয়টি শুনে স্বেচ্ছাসেবীরা (ইসলামী আন্দোলনের সদস্য) এগিয়ে আসলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী লাশটি দাফন করা হয়।