এলএনজি গ্যাস ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃর্শত মুক্তির দাবিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু যারা ব্যবসায়ী, যারা এলএনজি গ্যাস আমদানি করছে, তাদের জন্য। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে লুট করা যে অর্থ, তা দিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের নাম করে তারা ট্যাক্স আরোপ করছে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে তারা তাদের লুণ্ঠনের সম্পদ বৃদ্ধি করছে। বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হচ্ছে এবং ধনী গরিবের ব্যবধান আরও বাড়ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাজেটের মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন জনগণের সম্পদ লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সংকটে ফেলে দিয়েছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে সবার চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ধর্ষণ, লুট, অপহরণ করা হচ্ছে। কোথাও কোনও বিচার নেই, ব্যবস্থাও নেই। যেভাবে আদালত, বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, আদালতের অজুহাত দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। ঠিক একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে জনগণ ওপর।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্তি দেওয়ার মধ্যদিয়ে আমরা একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে পারি। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।’
প্রকৌশলী হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।