এসএসসি ফল বিপর্যয়: শিক্ষকরা কী বলছে

টানা চার বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেটে পাসের হার কমছেই। জিপিএ-৫ এ কিছুটা ছন্দপতন হলেও পাসের হারে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। এ বছরও সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। গতবারের মতো এবারও জায়গা হয়েছে তলানীতে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবার পেছনে সিলেট।
পাসের হারের সঙ্গে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও সবার পেছনে সিলেট। অর্থাৎ দুই সূচকেই তলানীতে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ব্যর্থতার জন্য গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলকে দায়ী করছে। একইসঙ্গে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক সংকটের কথাও বলছে।
তবে শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা মোবাইল ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় ঢালাওভাবে পাসের কারণে পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়াশুনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাস করার প্রবণতাও খারাপ ফলাফলের জন্য দায়ী।
তারা আরও বলেন, অনেক সময় নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠান থেকে আটকানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ করে এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীরাই ফলাফল খারাপ করে। যার প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলাফলে।
তবে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেই বিশেষ করে দায়ী করছেন শিক্ষকরা।