এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন শুরু কাল

রোববার (৩১ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ যারা প্রত্যাশিত ফলাফল পাননি তারা আগামীকাল সোমবার (১ জুন) থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। যারা আশানুরূপ ফল পাবেন না তাদের জন্য এই ব্যবস্থা। ৭ জুন পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগের নিয়মেই ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। টেলিটক সংযোগ থেকে RSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।
একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে, এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে RSC <স্পেস> YES <স্পেস> পিন নম্বর <স্পেস> যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থী চলতি বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গতবারের তুলনায় এবছর পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
আজ রোববার (৩১ মে) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত বিশ্লেষণ সংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
৯টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গতবছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। চলতিবছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৭ জন। গত বছর শুধু এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন পরীক্ষার্থী।
মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর দাখিলে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ২৮৭ জন পরীক্ষার্থী।
এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে পাসের হার ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত বছর ছিল ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন।
চলতি বছর ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। ১৭ হাজার ৪৮২টি স্কুল থেকে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসিতে, ৯ হাজার ১১০টি মাদরাসা থেকে ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী দাখিলে এবং ২ হাজার ২৯২টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়।