ওয়ানডে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করলো জিম্বাবুয়ে

টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজও জয় দিয়ে শুরু করল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দেওয়া ৩০৪ রানের লক্ষ্য তারা টপকে গেছে ১০ বল হাতে রেখেই। সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোডেশিয়ানরা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফ্রিকার এই দেশটি।
তাসকিনের ছোড়া বলে কাভারে ক্যাচ দিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। সহজ ক্যাচই ছিল। জুটি ভাঙার দারুণ একটা সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশর সামনে। তবে বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা তাইজুল ইসলাম নিতে পারেননি সেটি। ৪৩ রানে ব্যাটিং করার সময় বেঁচে গেলেন রাজা। অত:পর সেই রাজা হাকিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক। ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।
রাজার পর জীবন পেয়েছিলেন কাইয়াও। এবার অবশ্য ততটা সহজ ছিল না, তবে থার্ডম্যান থেকে ছুটে এসে হাত লাগাতে পারলেও ক্যাচটি রাখতে পারেননি তাসকিন। কাইয়া জীবন পেয়ে যান ৬৮ রানে। তারপর ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাকিয়ে (১১০ রান) আউট হন।
যদিও ইনিংসের শুরুতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের ভালোই চাপে ফেলেছিলেন টাইগার বোলাররা। ৩০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। সেই চাপ সামলাতে সেট হতে না হতেই ফিরে যান ওয়েসলি মেধেভেরেও। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন রেজিস চাকাভা। পরের ওভারে আঘাত করেছেন শরীফুল ইসলাম। তাঁকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তারিসাই মুসাকান্দা। ৬ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
৬২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই ভালোভাবেই সামলেছেন জিম্বাবুয়েন ব্যাটার ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। টাইগার ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসে জীবন পেয়ে জ্বলে উঠেছিলেন দুজনেই। শেষ পর্যন্ত তারাই হয়ে থাকলেন জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক।
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজ, মিরাজ, মোসাদ্দেক ও শরিফুলসহ প্রত্যেকেই নেন একটি করে উইকেট। ১০ ওভারে ৫২ রান দিলেও উইকেট শূন্য থাকেন পেসার তাসকিন।