ঔষধ প্রশাসনে নতুন আবেদন জমা গণস্বাস্থ্যের

ঔষধ প্রশাসনে নতুন আবেদন জমা গণস্বাস্থ্যের

অ্যান্টিবডি কিটের নিবন্ধন পেতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক গাইডলাইন অনুযায়ী নতুন করে কাগজপত্র জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। 

শনিবার এ আবেদনপত্র ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় নতুন আবেদনের কথা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, ঔষধ প্রশাসন নতুন একটা গাইডলাইন দেখিয়েছে। তারা বলেছে, সেটার আওতায় আসতে হবে। নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ৩০টা পজিটিভ স্যাম্পল হতে হবে, ৮০টা নেগেটিভ স্যাম্পল হতে হবে এবং সেনসেটিভিটি স্পেসিফিক্যালি ৯০ এর বেশি হতে হবে। ড. বিজন বলেন, সেক্ষেত্রে আমরা যে কাজ করেছি, সেটা আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল। এই গাইডলাইন আমাদের আগে জানানো হয়নি। বিএসএমএমইউ টিমকেও জানায়নি। এখন এটার আলোকে আমাদের কাজ আবার রি-অ্যারেঞ্জ করছি।

গাইডলাইনের চেয়ে আপনাদের কিটের ফল ভালো হওয়ার পরও ঔষধ প্রশাসন কেন নিবন্ধন দিল না,  এমন প্রশ্নে ড. বিজন বলেন, এটা বলে লাভ নেই। গাইডলাইন যেহেতু আমাদের এখানে আসছে, দেখি এর আলোকে আমরা কী করতে পারি। নতুন করে কিছু করব না, পেপারসগুলো রি-অ্যারেঞ্জ (কাগজপত্র পুনর্বিন্যাস) করব। ওরা বলছে ৩০, আমরা ৩০০ করছি। সুতরাং সেই দুশ্চিন্তা আমাদের নেই। এটা বিএসএমএমইউকেও ফলো করতে হবে মনে হচ্ছে। এটা তাদেরকেও জানানো হয়েছে। তারাও হয়ত এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। নতুন গাইডলাইনে যা বলেছে, তা অবশ্যই আমরা অর্জন করতে পারব। তবে এটা আগে জানালে আমাদের কাজ আরও সহজ হতো।

বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্যের কাছে পাঠানো জাতীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ই-মেইলের শেষ অংশে বলা হয়, গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের উন্নয়নে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল কমিটি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।

প্রায় এক মাস গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষে গত ১৬ জুন ঔষধ প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় বিএসএমএমইউ। এর নয় দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঔষধ প্রশাসন এক ই-মেইলে গনস্বাস্থ্যকে জানায় তাদের অ্যান্টিবডি কিটের নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব নয়। একইসঙ্গে একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়।