কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ক্রুজশিপ বে-ওয়ান

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ক্রুজশিপ বে-ওয়ান

সমুদ্রপথে ভ্রমণের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ক্রুজশিপ বা প্রমোদতরীর যাত্রা শুরু হল বাংলাদেশে। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সোমবার সকালে প্রথম যাত্রা শুরু করে এমভি বে-ওয়ান নামের এই জাহাজটি। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল নয়টায় জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বিকেল সাড়ে তিনটায় সেন্টমার্টিন থেকে পুনরায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফিরে আসবে। এর আগে রবিবার বিকালে ওয়াটার বাস টার্মিনালে জাহাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, পর্যটকদের আন্তর্জাতিক মানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে জাপান থেকে বিলাসবহুল এই ক্রুজশিপটি আনা হয়েছে। জাহাজটির আগের নাম ছিল ‘সালভিয়া মারু’। বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর এর নামকরণ করা হয় ‘এমভি বে-ওয়ান’। ১৯ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগরে জাহাজটির জন্য নতুন একটি জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা যুক্ত এমভি বে-ওয়ানে দুই হাজারের মতো যাত্রী পরিবহন করা যাবে।’

জানা গেছে, জাপানের কোবেই শহরের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি এই ক্রুজশিপটির দৈর্ঘ্য ৩৯৩ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট ও প্রায় ১৮ ফুট ড্রাফট রয়েছে। এটির গড় গতি ঘণ্টায় ১৬ দশমিক ১ নটিক্যাল মাইল এবং সর্বোচ্চ গড় গতি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল। তবে বাংলাদেশের সমুদ্রপথে এই জাহাজটি প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারবে। উত্তাল সমুদ্র মোকাবেলায় জাহাজটিতে ফিন স্ট্যাবিলাইজার সংযুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক এই প্রমোদতরীটিতে প্রেসিডেন্ট স্যুট, বাংকার বেড কেবিন, টুইন বেড কেবিন, আরামদায়ক চেয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের আসন রয়েছে। এছাড়া একটি রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন এবং ঝর্ণা রয়েছে।