করোনাভাইরাস বিরোধী ওষুধ যাচ্ছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে

মহামারাী রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে মারা গেছে ৬৩০ জন। আক্রান্ত আরও ৩০ হাজারের বেশি। এতে প্রায় নাকাল হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম পরাশক্তি চীন।
অবশ্য, এই ভাইরাসের চিকিৎসায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস বিরোধী একটি ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রস্তুত করা আছে। গিলিয়েড সায়েন্স নামের একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি এ ওষুধটির ফেজ-৩ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করা নিয়ে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।
এ ওষুধটি প্রাথমিকভাবে ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে ইবোলার ক্ষেত্রে এটি যে কার্যকর তা প্রমাণিত হয়নি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে জানা যায় যে, ওষুধটি 2019-nCoV করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের (এনইজেএম) একটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, উহান থেকে উৎপত্তি করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম মার্কিন নাগরিকের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করার পর সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে। মার্কিন রোগীকে ৭ দিনের অসুস্থতার পর এটি প্রয়োগ করা হলে অষ্টম দিনে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের নতুন প্লাসবো নিয়ন্ত্রিত ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিলিয়েডের এ ওষুধের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হালকা এবং মাঝারি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ২৭০ রোগীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, গিলিয়েডের ওষুধ নতুন করে ট্রায়েলের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চলছে। যদিও এ মুহূর্তে 2019-nCoV এর বিরুদ্ধে ক্রিয়াকলাপ দেখায় এমন রিম্যাডভাইভারের জন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাল তথ্য নেই।
তবে অন্য করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে পরিচালিত ট্রায়েলে প্রাপ্ত তথ্য আমাদের আশা জাগায়। রিমেডিসিভির এখনও লাইসেন্সেড বা অনুমোদিত নয়। প্রাণীর মডেলগুলোতে ইন-ভিট্রো এবং ইন-ভিভো বিশ্লেষণ মধ্যপ্রাচ্যের শ্বসন সিন্ড্রোম (মার্স) এবং গুরুতর তীব্র শ্বাসতন্ত্র সিন্ড্রোমের (সার্স) বিরুদ্ধে ড্রাগের ক্রিয়াকলাপ প্রমাণ করেছে, যা 2019-nCoV এর কাঠামোগত মিলের সাথে ভাইরাল প্যাথোজেন।