কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ, ২০ হাজার জেলে পরিবারের মানবেতর জীবন

কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ, ২০ হাজার জেলে পরিবারের মানবেতর জীবন
কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার জেলে পরিবার। মৎস্য শিকার বন্ধের দুই মাস শেষ হতে চললেও এখনও সরকারিভাবে বরাদ্দ ভিজিএফ কার্ডের খাদ্যশস্য পাননি জেলেরা। এতে তাদের কষ্ট বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। গত ১ মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ, পরিবহন ও বাজারকরণের ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বছরের নয় মাস মাছ শিকারের মাধ্যমে পরিবার সচল রাখলেও বন্ধকালীন এই তিন মাস ২০ হাজার জেলে থাকেন কর্মবিহীন। সজল দাশ বলেন, এই সময় বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ঋণের ওপর নির্ভর করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক কাজ করে কিছু আয় হয় যা দিয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে কোনওরকম চলে যাচ্ছে। নয় মাস ভালোভাবে সংসার চললেও মাছ ধরা বন্ধের এই তিন মাস খুবই কষ্টে কাটে। দিলীপ দাশ ও রাজু শীল বলেন, শুনেছি সরকার মাছ ধরা বন্ধের সময় অনেক কিছু দেবে, কিন্তু এখনও কিছুই দেয়নি। আবার নদীতে নামলে পুলিশ, বিএফডিসি ধরে নিয়ে যায়। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের জন্য যে খাদ্যের বরাদ্দ ছিল তা যেন দেওয়া হয়। রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, এস এম শফি কামাল বলেন, ‘ভিজিএফ কার্ডের চাহিদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই খাদ্যশস্য বন্টন করা হবে।’ কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। তবে এ সময় যাতে অভাবের তাড়নায় জেলেদের অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে না হয়, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সজাগ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন এখানকার সচেতন মানুষ।