কাল বিসিবির এজিএম, আসছে পরিবর্তন

কাল বিসিবির এজিএম, আসছে পরিবর্তন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই)। রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বেলা ১২টায় শুরু হবে এজিএম। আগের এজিএমে নির্বাচনি উত্তাপ থাকলেও এবার সেই আঁচ থাকছে না। তবে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বিসিবি।

এজিএমে গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু সংশোধনী নিয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সব কাউন্সিলরের কাছেই সংশোধিত গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছে। তাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলোই হয়তো কালকের (মঙ্গলবার) বার্ষিক সভায় অনুমোদিত হবে। বিসিবি সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।

মূলত আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আলোর মুখ দেখেনি। ভাবা হচ্ছে, এবারের এজিএমে আনুষ্ঠানিকভাবে পাস হয়ে যাবে এই সংস্থাগুলো। সেটি হলে প্রতি বিভাগের কাউন্সিলররা মিলেই নিজেদের বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সাজাবেন।

এছাড়া ঢাকার ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপে ব্যাপক রদবদল আসছে। এক বোর্ড সভাতেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ঢাকার ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপে পরিবর্তন আসবে। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগে খেলা ছয় দল থেকে কাউন্সিলর হতেন দুজন। নিচের দলগুলো থেকে হতেন একজন করে। অর্থাৎ ১২ দলের শীর্ষ ছয় দলের ২ জন করে ও বাকি ৬ দলের একজন করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতেন। এতে করে সুপার লিগে ওঠার জন্য পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ উঠতো দলগুলোর বিপক্ষে। তা রোধ করতেই মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে দুই জনের কাউন্সিলরশিপ বাতিলের প্রস্তাব আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেটিও এজিএমে পাস হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগের ১২ ক্লাবের আর বৈষম্য থাকবে না। 

সোমবার এ প্রসঙ্গে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেছেন, ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোকে আমাদের যদি প্রতিষ্ঠিত করতে হয়, প্রথমে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী নিয়ে আসতে হবে। আঞ্চলিক কাঠামোর ব্যাপারে কোনও কিছু গঠনতন্ত্রে ছিল না, যদি পরিবর্তন করা না হয় তাহলে নতুন কিছু গঠন করা সম্ভব না। যে কারণে সাধারণ পরিষদের অনুমোদন লাগে।’

এছাড়া এজিএমের এজেন্ডা নিয়ে টিটু বলেছেন, ‘এজিএমে আসলে সারা বছর যে কর্মকাণ্ডগুলো থাকে সেগুলো উপস্থাপন করা, সেখান থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়। এর আগে যে এজিএম হয়েছে সেটার অনুমোদন নেওয়া। আমাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো তৈরির একটা পরিকল্পনা আছে, সেগুলো অনুমোদন করা। যে বাজেট আছে, সেগুলো অনুমোদন করা।’

এদিকে বরাবরের মতো এবারের এজিএমে কাউন্সিলরদের জন্য উপহার রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত বছর উপহার হিসেবে প্রতিটি কাউন্সিলরকে এক লাখ টাকা ও একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়েছিল। এবার তারা তেমন কিছু পাচ্ছেন না। কাউন্সিলররা নগদ ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে একটি করে মোবাইল ফোন পাচ্ছেন।