কুকুরের মুখ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করল পুলিশের এসআই

কুকুরের মুখ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করল পুলিশের এসআই


চট্টগ্রামে কুকুরের মুখ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভোরে নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান জানান, ‘তিনটি কুকুর নবজাতকটিকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া করছিলো। সেখান থেকে একটু দূরে দায়িত্বরত ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজ ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তারপর নবজাতকটিকে প্রথমে মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

মোস্তাফিজুর বলেন, রাস্তায় দুটি কুকুর মারামারি করছে। বিষয়টা দেখে তার কৌতুহল হয়। তিনি এগিয়ে গিয়ে দেখেন এক সদস্যজাত শিশুকে কুকুরগুলো টানাটানি করছে। এর পর তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

তিনি জানান, রাতের ডিউটির শেষভাগে দলের সহকর্মীদের সঙ্গে আক্তারুজ্জামান সেন্টারের সামনে ছিলেন তিনি। ওই সময় রাস্তার উল্টো দিকে সোনালী ব্যাংকের সামনে দুটি কুকুরকে মারামারি করতে দেখেন তিনি। আরেকটি কুকুর কিছু একটা নিয়ে টানাটানি করছিল দেখে তার কৌতুহল হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এগিয়ে গিয়ে দেখি একটা বাচ্চা, মনে হয় সদ্যজাত শিশু। কুকুরগুলো তাকে নিয়ে টানাটানি করছে। আমি তখন ওই রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া এক নারীর সাহায্য চাইলাম। তিনিও এগিয়ে আসেন। রাস্তার পাশে একটি টং দোকান থেকে কাপড় নিয়ে বাচ্চাটাকে মুড়িয়ে ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে গেলাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে।’

মা ও শিশু হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরিষ্কার করে দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানান মোস্তাফিজ।

তিনি বলেন, মেডিকেলে যাওয়ার পথে আবার বাদামতলী মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় জনতা ব্যাংকের সামনে আনুমানিক ২৫ বছর বয়েসী এক নারীকে খানিকটা রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় বসে থাকতে দেখেন তিনি।

তিনি বলেন, স্থানীয়রা জানায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন, রাস্তাতেই থাকে। নাম জিজ্ঞেস করলে কথা বলছিল না। শুধু রাস্তার উল্টো দিকে দেখাচ্ছিল হাত দিয়ে। ওই জায়গাতেই বাচ্চাটাকে নিয়ে কুকুরগুলো টানাটানি করছিল তখন।