কৃষক লীগ নেতার পেঁয়াজ খেতে ৫৫ গাঁজার গাছ

কৃষক লীগ নেতার পেঁয়াজ খেতে ৫৫ গাঁজার গাছ

রাজশাহীর বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমানের পেঁয়াজের জমিতে গাঁজা চাষের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে ইউনিয়নের খুঁজিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সেখান থেকে ৫৫টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে। এগুলোর ওজন ২৪ কেজি।

এ ঘটনায় ওই কৃষক লীগ নেতার ছেলে সাগর আহম্মেদকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা-পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন মাহাবুর রহমান।  

খুঁজিপুর গ্রামে বাড়ির পাশে পেঁয়াজের চাষ করেন মাহবুর রহমান। তার এই জমিতে পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল ৫৫টি গাঁজার গাছ। এ নিয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় এসব গাছ। গাঁজার গাছ নিশ্চিত হওয়ার পর তারা এগুলো ওঠাতে থাকে। একে একে ৫৫টি গাঁজার গাছ জব্দ করে পুলিশ।

গাছ উদ্ধারের পরই সোমবার রাতে পুলিশ মাহাবুর রহমানের ছেলে সাগর আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। সাগর স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। ঘটনার পর থেকেই তার বাবা মাহাবুর রহমান পলাতক।

তবে, মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মাহাবুর দাবি করেন, গাছগুলো গাঁজার কি না, তা তিনি জানতেন না। তিনি প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, মাহাবুর নিজের পেঁয়াজ খেতের ভেতরে গোপনে ৫৫টি গাঁজার গাছ লাগান। তিনি ও তার ছেলে এগুলোর পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর রাতে খুঁজিপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ আসার খবর পেয়ে সটকে পড়েন কৃষক লীগের নেতা।

মাহাবুর রহমান বাসুপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি এমদাদ হোসেন জানান, গাঁজার গাছ জব্দের ঘটনাটি তিনি জানেন না।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই পেঁয়াজ খেত থেকে মোট ২৪ কেজি ওজনের ৫৫টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাগর আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে, অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।