কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার আহ্বান

কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার আহ্বান

বোরো ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমপক্ষে ৩০ লাখ টন নির্ধারণ করা এবং প্রতি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট।

বুধবার (৮ এপ্রিল) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজের দেয়া এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আর ১ সপ্তাহ পরে বোরো ধান কাটার মৌসুম শুরু হবে। সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি গত ২ এপ্রিল চিঠি দিয়ে খাদ্য অধিদফতরকে বোরা মৌসুমে সাড়ে সতেরো লাখ টন ধান এবং চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ধান ২৬ টাকা কেজি, চাল ৩৬টা কেজি এবং আতপ চাল ৩৫ টাকা কেজি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, মোট সাড়ে সতেরো লাখ টন ধান-চালের মধ্যে ধান ক্রয়ের কথা বলা হয়েছে মাত্র ৬ লাখ টন, বাকি সাড়ে এগারো লাখ টন হলো চাল। কিন্তু কৃষক চাল উৎপাদন করে না, ফলে চাল কিনবে চাতাল মালিকদের কাছ থেকে।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে চাল নয় কমপক্ষে ৩০ লাখ টন ধান সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করার দাবি জানান। তারা বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার যদি ৫০ লাখ টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনতে পারে তাহলে আমাদের সরকার কেন ৩০ লাখ টন কিনতে পারবে না?

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছর কৃষক ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়েছে শুধু নয়, মজুরের অভাবে ক্ষেতের ধান কাটতে না পেরে মনের দুঃখে ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ফলে এ বছর যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সরকার-কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি অধিদফতরের প্রতি দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এবারে কৃষি শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দিনমজুরদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হাওরের ধান সময় মতো না কাটতে পারলে দেশে বড় ধরনের খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে। কারণ হাওরে ধান কাটতে খুব অল্প সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে ধান কাটা না হলে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ধান তলিয়ে যেতে পারে। সেজন্য ওই অঞ্চলের কৃষকদের সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত হার্ভেস্টিং মেশিন সরবরাহ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষি শ্রমিক পাঠানোর বন্দোবস্ত করা যায় কীভাবে, সে উদ্যোগ নেয়ার জন্যও সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।