কৃষ্ণচূড়ার আলিঙ্গনে বরিশাল নগরী

কৃষ্ণচূড়ার আলিঙ্গনে সেজেছে বরিশাল নগরী। যেদিকে চোখ যাবে সে দিকেই কৃষ্ণচূড়ার সমারোহ। পথতরু হিসেবে দারুণভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া। নগরীর পায়ে চলা পথে, সড়কদ্বীপে, সড়ক বিভাজকে এর দেখা মেলে। তবে এই কৃষ্ণচূড়া গাছ রক্ষার জন্য এবং এর সমারহো বাড়াতে সংস্লিষ্ট কৃর্তপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রকৃতি প্রেমীরা।
বরিশাল রকেট ঘাটে কৃষ্ণচূড়ার দির্ঘ সারি যাত্রীদের ছায়া দেয়। জেলা শিল্পকলা সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু উদ্যানের সামনের সড়কেও ছেয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ায়। অন্যদিকে কাঞ্চণ উদ্যানও গ্রীষ্মের এই মৌসুমে সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও সোমবার (১৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর নতুন বাজারের বগুরা রোডের মুখে, তালতলী সড়ক ও বাংলাবাজর রোডে ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে রেখেছে এই কৃষ্ণচূড়া।
বরিশাল রকেট ঘাটে ঘুরতে আসা মো. ওয়াসি বলেন, ‘এ সময়ে নগরীর এই স্থানটিতে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়, যখন কৃষ্ণচূড়া ফুল গুলো ফোটে। এখানে আসলে আমাদের ভালো লাগে। তবে এখানে ময়লা আর্বজনা, কোন বসার স্থান নেই। পুর যায়গাটি হকার, টং দোকানীরা দখলে নিয়েছে। এগুলো যদি না থাকতো তবে পরিবেশটা আরো সুন্দর দেখাতো। প্রকৃতি প্রেমী হিসেব আমার দাবি, এই স্থানটির সৌন্দর্য্যকে ফুটিয়ে তুলতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
রকেট ঘাটের কর্মচারী মো. হেলাল বলেন, ‘সারাদিন এই জায়গা থাহি। ভালো লাগে, বাতাসে কৃষ্ণচূড়া দোল খায়, চাইরপশ লাল। বেশি গরম লাগলে গাছে গোরয়া যাইয়া একটু জিড়াই।’
বরিশাল সরকারি হাতেম আলি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তনয় বলেন, ‘আমাদের বরিশাল নগরীটা অনেক সুন্দর। কিন্ত এই সুন্দর রক্ষা করার জন্য তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। কেন এমনটা হচ্ছে বলা মুশকিল। কিছু দিন আগে বরিশাল নগরীর প্রাণ কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু উদ্যোনে প্রায় ২০০ বছরের পুরতান একটি গাছের মৃত্যু হয়েছে। পরে কেটে ফেলেছে। কিন্তু এটার কোন যতœ ছিলো না। গাছটির চার পাশে ইট, বালির ব্যরিগেট দিয়ে রাখাছে হয়েছে। শিখরে পানি না পাওয়া গাছটির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি অরো বলেন, ‘এদিকে রকেট ঘাটের কৃষ্ণচূড়া বিশাল এক সাড়ি আছে। সেখানে গাছের গোড়ালিতে ময়লা অবর্জনার শেষ নেই। এই গাছ গুলো গোড়ালিতে ইট, বালি দিয়ে ব্যরিগেট দেওয়া হয়েছে। কত দনি বাঁচে জানি না। তবে গাছ গুলোকে রক্ষার জন্য উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’