ক্রোয়েশিয়া- মরক্কো গোলশূন্য ড্র

বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মরক্কোর সাথে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ক্রোয়েশিয়া। কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণেই ম্যাচটি শেষ হয় ০-০ গোলে। রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে বল নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বিস্তার করলেও কমে ছাড়েনি মরক্কো।

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেবার ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে শিরোপা বঞ্চিত হয়নি তারা। সে বিশ্বকাপের চার বছর পর কাতার বিশ্বকাপে এবার ক্রোয়েশিয়া থেকে র‍্যাংকিংয়ে ১০ ধাপ পেছনে থাকা মরক্কো তাদেরকে রুখে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিপজ্জনক অনেক আক্রমণও করেছে ক্রোয়েশিয়ার গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি দুই দলের কেউই।

শক্তির বিচারে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে থাকলেও মাঠে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে ব্যর্থ হয় তারা। বল পজিশনে মরক্কোর চেয়ে বেশ এগিয়ে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি দলটি। পুরো ম্যাচে ৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখেও শট নিতে পেরেছে কেবল ৫টি। মূলত, মরক্কোর ডিফেন্ডারদের কল্যাণেই ক্রোয়েশিয়া সুবিধা করতে পারেনি এই ম্যাচে। ব্যবধান গড়ে দিতে পারেননি লুকা মদ্রিচের মতো মিডফিল্ড।

এর আগে, প্রথমার্ধে ৫৯ শতাংশ বলের দখল ছিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে। আর ৪১ শতাংশ ছিল মরক্কোর কাছে। মরক্কো প্রথমার্ধে গোলপোস্টের দিকে ৫টি শট নিলেও একটি অন টার্গেটে ছিল না। তবে ক্রোয়েশিয়ার নেওয়া ৪টি শটের একটি ছিল টার্গেটে, যদিও তা থেকে গোল পায়নি দলটি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে ও যোগ করা সময়েও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে তারা দারুণ দুটি সুযোগ মিস করে। এর ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের লড়াই।

বিরতির পর ৫২ মিনিটে আক্রমণে উঠে ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ডরা দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে। তবে সোফিয়ান আমরাবাতের নৈপুণ্যে সে যাত্রায় বেঁচে যায় মরক্কো। ৬৩ মিনিটে গোলবারের কাছে পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি সেলিম আমাল্লাহ। ৬৫ মিনিটে হাকিমির দুর্দান্ত ফ্রি কিক শট ফিরিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ।

ম্যাচের ৮১ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে মদ্রিচের পাঠানো শট জোস্কো ভার্দিওল হেডের সাহায্যে জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি লক্ষ্য ঠিক রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়া।