গাঁদা ফুলের উপকারিতা

ফুল কে না ভালবাসে! ফুল দেখলে সকলেরই মন চায় গন্ধ নেওয়ার জন্য। কিন্তু ফুল শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না এবং গন্ধই বিলায় না। সকল ফুলের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে আমরা কিছু ফুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানি আবার কিছু জানি না। তেমনই একটি ফুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আজ আলোচনা করব। সে ফুলটি হল গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা....
সুগন্ধি তৈরীতে গাঁদা ফুল:- গাঁদা ফুলের রয়েছে অপরুপ সুগন্ধ যা মানুষের মনকে মাতাল করে দেয় এবং মনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। গাঁদা ফুল থেকে বিভিন্ন ধরণের সুগন্ধি তৈরী হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধক:- গাঁদা ফুলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাভনয়েড নামক গুরুত্বপুর্ণ উপাদান যা মানবদেহের ক্যান্সার কোষের বাড়ন্ত অবস্থাকে প্রতিহত করতে সক্ষম।
টিউমার প্রতিরোধক:- গাঁদা ফুলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। ফলে আমাদের শরীরে কোন ফোঁড়া বা টিউমার হতে রক্ষা করে এই গাঁদা ফুল।
কাটা-ছিড়া ও ঘা সারিয়ে তুলতে গাঁদা ফুল:- শরীরের কোন জায়গায় কোন কেটে গেলে বা ঘা হলে যদি রক্ত পড়া বন্ধ না হয়। তখন গাঁদা ফুলের পাতা হাতে ডলে ক্ষত স্থানে ঘষে দিন তত্ক্ষনাত রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যাথা হলে ব্যাথা কমে ও কাটা স্থান তাড়াতাড়ি জোড়া লাগে।
অর্শ্ব-পাইলস সারাতে গাঁদা ফুল:- গাঁদা ফুলের পাপড়ি অল্প পরিমাণ মাখনের সাথে মিশিয়ে টানা কয়েকদিন খেলে অর্শ্ব-পাইলসের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
কান পাকলে:- কান পাকলে গাঁদা ফুলের পাতার রস কানের ভিতরে দিলে কান পাকা ভাল হয়। সাধারণত ছোট বাচ্চারা একা একা গোসলের সময় কানে জল ঢুকে যায় আর এই জল অনেক দিন কানে থাকলে এই কান পাকা রোগ হয়। এছাড়া ছত্রাক জনিত সমস্যা সারাতেও গাঁদা ফুলের জুড়ি নেই।
মহিলাদের অনিয়মিত মাসিকে:- যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় বা মাসিকের সময় পেট ব্যাথা করে তারা প্রতিদিন গাঁদা ফুলের চা খেতে পারেন। এতে ব্যাথা কমে ও মাসিকের সমস্যা দূর হয়। এ সমস্যা সাধারণত বাড়ন্ত বয়সের মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশী হয়।
গাঁদা ফুলের চা:- গাঁদা ফুলের চা নিয়মত পান করলে মুখের ব্রণ দূর হয়, ত্বক মসৃন হয়, হজম শক্তি বাড়ায়, হাড়ের ক্ষয় রোধ করে, আর্থাইটিসের সমস্যা দূর করে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেয়।
চুলের যত্নে গাঁদা ফুল:- গাঁদা ফুল বেঁটে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় নিয়মিত ১০/১৫ দিন লাগালে মাথার খুশকি দূর হয়, চুল কুচকুচে কালো হয়।
মৌসুমী রোগ থেকে রক্ষা করে:- গাঁদা ফুলে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের মৌসুমী রোগ থেকে মুক্তি দেয়। যেমনঃ-ঠান্ডা, জ্বর, কাশি ইত্যাদি।
স্কার্ভি রোগ থেকে সুরক্ষা:- গাঁদা ফুল শুকিয়ে পুড়ে ছাই দেয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, মুখের ঘা হওয়া থেকে বাঁচায়।