গৃহবধূকে ধর্ষণ, আটক ২

গৃহবধূকে ধর্ষণ, আটক ২

মাদারীপুর জেলার শিবচরে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

রাতেই পুলিশ ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার পাঁচ্চর সোনার বাংলাপ্লাজার সামনে থেকে জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে একটি ইজিবাইকে উঠিয়ে পাঁচ্চর বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে একটি একতলা বাড়িতে নিয়ে যায় এক নারীসহ পাঁচ ব্যক্তি।

সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে বিকেল পর্যন্ত দুই দফায় তাকে ধর্ষণ করে একাধিক ব্যক্তি।

পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে পুনরায় ধর্ষণের জন্য অন্যত্র নেওয়ার সময় কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইজিবাইকটির পথরোধ করে।

এ সময় ইজিবাইকে থাকা আসামিরা দ্রুত পালিয়ে গেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

রাতে শিবচর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার বিবরণ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, আখি আক্তার (২৫) নামের উপজেলার রাজারচর মোল্লাকান্দি এলাকার এক নারী পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীকে অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হতে বিভিন্ন সময়ে প্রস্তাব দিতেন।

প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয় ভুক্তভোগীর।

গতকাল শনিবার বাচ্চার জন্য দুধ কেনার টাকা আনতে ভুক্তভোগী ওই নারী পাঁচ্চর সোনারবাংলা প্লাজার কাছে তার ফুফুতো ভাইয়ের কাছে আসেন।

পূর্বশত্রুতার জের ধরে শনিবার দুপুরে সোনার বাংলা প্লাজার কাছ হতে ওই নারী ও তার সহযোগীরা জোর করে তাকে একটি ইজিবাইকে উঠিয়ে বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে নিয়ে প্রথমে তাকে মারধর করেন তারা।

এরপর সোহেল, এসকান ও সুবল মন্ডল নামের তিন ব্যক্তি  তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

রাতে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শিবচর থানায় আখি আক্তার (২৫), সুবল মন্ডল ওরফে সুমন মোল্লা (৩২), সোহেল (৩৫), এসকান (৩৭) ও অটোরিকশা চালক সোহাগ হাওলাদার (৩৫) এর নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

শিবচর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ভুক্তভোগীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘মামলা দায়েরের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’


ভোরের আলো/ভিঅ/১৩/১২/২০২০