গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের আনুপাতিক হারে রাখতে হবে

গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের আনুপাতিক হারে রাখতে হবে

নিত্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি হিসেবে আমদের দেশে গ্যাসের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এদিকে প্রতিনিয়ত বিশ্ববাজারে এলপিজির গ্যাসের দাম বেড়েই চলছে। দেখা যায় নতুন বছরের শুরু থেকেই দাম বাড়য়ছে এলপিজি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলি। দেশের গ্যাস ব্যবহারকারি গ্রাহকরা পরেছে বিপাকে। হঠাৎ গ্যাসের দাম বেড়ে যওয়ায় নিম্নমধ্যবৃত্ত পরিবার গুলোও হতাস হয়ে পরেছেন। 

যখন জীবন-জীবিকা নিয়ে টানা পোড়া। তখন আমাদের দেশের বাজারে চলছে সার্কাস। একের পর এক নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেড়েই চলছে। আর সাধারন ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটছে। ইচ্ছে মত দাম বাড়িয়ে বেঁচা বিক্রি। যেটা প্রমান আমারা পেয়েছি লকডাউন এর সময়। বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উঠে আসে ভিন্ন রকমের ছল চাতুরী। তাই আমাদের চাওয়া গ্যাস নিয়ে এমন কিছু যেন না ঘটে। তাঁর আগে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

আমদানিকারকরা জানিয়েছে বাংলাদেশে এই গ্যাসের ৯৮ শতাংশই আমদানি করতে হয়, যার পুরোটা আসে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে। যেহেতু এটি আমদানিনির্ভর পণ্য, তাই বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করতে হয়। বর্তমানে বিশ্ববাজারে এলপিজির যে দাম, সেটি গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম বেড়ে হয়েছিল প্রতি টন ৬২০ ডলার। নতুন বছরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেটি হয়েছে প্রায় ৬০০ ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে গত বছরের জুনে প্রতি টন এলপিজির মূল্য ছিল ৩৩৬ ডলার, জুলাইয়ে ৩৪৬ ডলার, আগস্টে ৩৫১ ডলার, সেপ্টেম্বরে ৩৫৮ ডলার, অক্টোবরে ৩৭৮.৫ ডলার, নভেম্বরে ৪৩৭ ডলার, ডিসেম্বরে ৪৫৭ ডলার, এ বছর জানুয়ারিতে ৫৩৬ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে সেটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬০০ ডলার। তবে আমরা আশা করছি, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। তখন আবার আমরাও ভোক্তাদের কাছে সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারব।

গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে মানুষের মধ্যে কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়বে। সেই প্রভাব খাটিয়ে যেন কোন সিন্ডিকেট না করা হয়। এমন মন্তব্য জানিয়েছেন জনসাধারন। আমাদের সকলের চাওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে আনুপাতিক হারে যেন দাম বাড়ানো হয়। তাহলে সবার মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে।