গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুতদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে জানতে চায়

গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের বকেয়া পাওনা যথাযথভাবে পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য চেয়েছে উচ্চ আদালত। এ-সংক্রান্ত নথি দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
গ্রামীণ টেলিকমে ছাঁটাই ও পাওনা নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ও শ্রম আদালতে শতাধিকের বেশি মামলা হয়। পাওনা পরিশোধ না করায় গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করে প্রতিষ্ঠাননটির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন। শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা ৪৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে-উভয়পক্ষের এমন সমঝোতা হলে গত ২৪ মে মামলা প্রত্যাহার করে নেয় শ্রমিক-কর্মচারী পক্ষ।
এর ধারাবাহিকতায় পাওনা পরিশোধ শুরু করে গ্রামীণ টেলিকম।
উভয়পক্ষের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে তারা বেঞ্চকে এ বলে অবহিত করেন যে, ইতোমধ্যে আপসনামা ও চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৮০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। চারজন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করায় তাদের ক্ষেত্রে ওয়ারিশান সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এ ছাড়া চারজন বিদেশে থাকায় তাদের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়নি।
আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রমিক-কর্মচারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ আলী।
অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যেসব শ্রমিক-কর্মচারীর টাকা পরিশোধ করা হয়েছে সেটি আদালতকে অবহিত করা হয়েছে। সমুদয় পাওনা ঠিকমতো পরিশোধ হয়েছে কি না সেটি জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ২ আগস্ট এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা না করেই ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির ৯৯ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।