চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩৬৮

রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রামেও অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। করোনা পরীক্ষার এই পদ্ধতিতেও চট্টগ্রামে শনাক্তের হার অনেক বেশি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। একইসময়ে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ২২৬ জন নগরের এবং ১৪২ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
২৪ ঘণ্টায় তিন করোনা রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার। চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৯১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৫৮ হাজার ৩৬৫টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামে ৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ১১৬ জনের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জন এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৮২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
এছাড়া ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব ৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের শরীরের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম এন্টিজেন টেস্টে ৭১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ জন। এদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার ল্যাব এবং পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ৪ জন, বাঁশখালীর ৩ জন, আনোয়ারার ১ জন, পটিয়ার ৫ জন, বোয়ালখালীর ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৬ জন, রাউজানের ১৯ জন, হাটহাজারীর ১৫ জন, ফটিকছড়ির ২৮ জন, মিরসরাইয়ের ২১ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩৩ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর চট্টগ্রামে ওই বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তি মারা যান। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে ফের শুরু হয়েছে লকডাউন।