চিরনিদ্রায় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু

বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র অভিনেতা সাদেক বাচ্চু আর নেই। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা ৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাদেক বাচ্চুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালটির আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডা. আশিষ চক্রবর্তী।
গত ৬ সেপ্টেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন সাদেক বাচ্চু। উপসর্গ থাকায় তার করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
পাঁচ দশকের দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে মঞ্চে, বেতারে, টিভিতে, সিনেমায়, সর্বত্র দাপুটে বিচরণ সাদেক বাচ্চু’র। নব্বই দশকে এহতেশামের ‘চাঁদনী’ সিনেমায় অভিনয়ের পর জনপ্রিয়তা পান খলনায়ক হিসেবে। এই পরিচয়েই দেশজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গুণী এই অভিনেতার।
১৯৬৩ সালে খেলাঘরের মাধ্যমে রেডিওতে অভিনয় শুরু করেন সাদেক বাচ্চু। তাঁর প্রথম থিয়েটার ‘গণনাট্য পরিষদ। ’ ১৯৭২-৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যখন এদেশের সাংস্কৃতিক বলয় নতুনভাবে তৈরি হচ্ছিল, তখন যোগ দেন গ্রুপ থিয়েটারে। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ১৯৭৪ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিষিক্ত হন গুণী এই অভিনেতা। ‘রামের সুমতি’র মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
সাদেক বাচ্চুর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- জোর করে ভালোবাসা হয় না (২০১৩), জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার (২০১৩), জীবন নদীর তীরে (২০১৩), তোমার মাঝে আমি (২০১৩), ঢাকা টু বোম্বে (২০১৩), ভালোবাসা জিন্দাবাদ (২০১৩), এক জবান (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), বধূবরণ (২০০৮), ময়দান (২০০৭), আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), প্রিয়জন (১৯৯৬), সুজন সখি (১৯৯৪)।
ভোরের আলো/ভিঅ/১৪/২০২০