ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার : কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গোয়েন্দা তথ্যের অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। পরে ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার।
ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তিন দিন আগে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সোহেলকে বহিষ্কার করে দল।
থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা। পরে সেই ভিডিও প্রদর্শনের ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল রানা ওই কিশোরীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাব করলে তা প্রত্যাখ্যান করে বিয়ের ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
আরও জানা যায়, সোহেল রানা তাকে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জোরপূর্বক নিজ ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পরলে বাসায় গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ছাত্রলীগ। পরে পুলিশ এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিললে সোহেল রানাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান সোহেল। এরপর রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোহেল রানার বিরুদ্ধে গত বছরে ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের আরেকটি মামলা হয়। সেই মামলায় সোহেল রানাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ঢাকা জেলা পিবিআই।