ছিনতাই হওয়া ৫মন ইলিশ মাছ উদ্ধার : গ্রেপ্তার-৩

পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ছিনতাই হওয়া ৫মন ইলিশ মাছ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি পিকআপ ও ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তরকৃতরা হলো, পিকআপ মালিক বিশ্বজিৎ সরকার, পিকআপ চালক তাপস সরকার ও তাদের সহযোগী মো. মনিরুজ্জামান। যদিও ঘটনার সাথে জড়িত মুন্না মোল্লা ওরফে নূরে আলম ও রাশেদ নামে আরো ২ জনকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২ টায় বরিশাল নগরের লুৎফর রহমান সড়কস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর এর কার্যালয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার মা. মোকতার হোসেন-পিপিএম সেবা জানান, মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদি জালাল পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর বন্দর থেকে দেড়লাখ টাকা মূল্যের ৫ মন ইলিশ মাছ ক্রয় করেন। মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল ও তার শ্যালক এলাহি গত ১০ সেপ্টেম্বর ইলিশ মাছগুলো একটি পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওই পিকআপ ভ্যানের চালক তাপস সরকারর ১১ সেপ্টেম্বর ভোররাতের দিকে পিকআপটি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন অমৃত গুড়া মশলার ফ্যাক্টরির সামনের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে থামায়। এসময় সেখানে মোটরসাইকেলে করে পলাতক আসামী মুন্না মোল্লা ওরফে নূরে আলম ও গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান হাজির হন। ঘটনার সময় গ্রেপ্তার অপর আসামী বিশ্বজিৎ সরকার পাশের রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয়। পরে তারা ইলিশবহনকারী পিকআপটিকে চালক তাপসের সহায়তায় মহাসড়কের পাশের শাখা রোডে নিয়ে যায় এবং মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল ও তার শ্যালককে পিকআপ থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এর পরপরই অন্য একটি পিকআপ এনে ইলিশ মাছগুলো সেটাতে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামীরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানাকে অবহিত করা হলে পুলিশের ৩টি চৌকশদল অভিযানে নামে। অভিযানে নেমে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং ছিনতাই হওয়া ৫ মণ ইলিশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত সকলের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দী দিয়েছে। পাশাপাশি আদালতের মাধ্যমে মাছগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. মোকতার হোসেন-পিপিএম সেবা। তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনার আগে মহিপুর থেকে বরিশাল আসতে পিকআপ চালক তাপস সরকারের মোবাইলে প্রায় ৩০ টির মতো কল আসে। যার মাধ্যমে সে নিজের অবস্থান জানাচ্ছিলো ছিনতাইকারীদের। অভিযানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্বাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট) নাসরিন জাহান, এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ এম আব্দুর রহমান মুকুলসহ থানা পুলিশের সদস্যরা অংশগ্রহল করে।