সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য যোগ্য ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
রোববার (১৬ জুন) ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯ এর সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। এজন্য যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর করা প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ ওই নীতিমালার ভিত্তিতেই প্রণয়ন করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির পিতার দূরদৃষ্টি ছিল। দেশের সেনাবাহিনী কেমন হবে সেই চিন্তাতেই তিনি নীতিমালা তৈরি করেছিলেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই সরকার পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্যই নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছি। যেখানে কেউ আর ক্ষুধার্ত থাকবে না।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হুসেইন ভূইয়া ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান।