জাতীয় শোক দিবস পালনে ‘স্বাস্থ্যবিধি’ গাইডলাইন

আগামী ‘১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে নিরাপদ স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করার জন্য একটি নির্দেশিকা বা গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো গাইডলাইনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ ও বাহিরের পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট করতে হবে। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে স্থানে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না।
এক থেকে আরেকজনের তিন ফুট বা কমপক্ষে দুই হাত দূরত্ব বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমাটি গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।
সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং প্রবেশ পথে হ্যান্ডস্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সর্দি, কাশি,জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করবেন না। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারনের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
একইসঙ্গে এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিলের জন্য দেওয়া নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, জনসমাগম যথা সম্ভব কম রাখতে হবে। অনুষ্ঠানস্থল বা কক্ষের আয়তনের উপর লোকসংখ্যার উপস্থিতি নির্ধারণ করতে হবে।
সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। প্রবেশ পথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
একজন থেকে আরেকজন তিনফুট বা কমপক্ষে দুই হাত দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ এবং নাক ঢাকতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। জরুরি বর্জ্য অপসারনের ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।