জীবন ধারণের জন্য অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে

জীবন ধারণের জন্য অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে


 

বিনা ধান-১১’র কৃষক মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (৭ নভেম্বর) বরিশালের এটিআই ক্যাম্পাসে বিনা আয়োজিত এ মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস।

কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব উদ্দিন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।

এটিআইর প্রশিক্ষক অলি হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আক্তার। ডিএই বরিশালের উপ-পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম, ভাসমান কৃষি  প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিএসও ড. মো. আলিমুর রহমান, এটিআইর মুখ্য প্রশিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খলিফা শাহ্আলম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। মাঠদিবসে শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রধান অতিথি বিনা ধান-১১’র শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

মাঠদিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, জীবন ধারণের জন্য অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেসব স্থানে পানিতে প্লাবিত হয়, সেসব জায়গায় দরকার বন্যাসহিষ্ণু জাত ব্যবহার। আর এ জন্য বিনাধান-১১ বেশ উপযোগি।

 উল্লেখ্য, বিনা ধান-১১ এমন একটি উচ্চফলনশীল জাত, যা ২০ দিন পানির নিচে ডুবে থাকার সহ্যক্ষমতা রয়েছে। এর জীবনকাল প্রায় ১১২ দিন। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন প্রায় ৫.৫ মেট্টিক টন।