ঝালকাঠিতে পৌর কাউন্সিলরকে কুপয়েছে দুর্বৃত্তরা

ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও হ্যন্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবির খানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুবৃত্তরা। আহত কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খানকে প্রথমে ঝালকাঠী হাসপতালে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় পৌর এলাকার পালবাড়ি সড়কে কাউন্সিলর কুদ্দুস হাওলাদারের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহষ্পতিবার রাত ৯ টার দিকে বন্ধুদের নিয়ে শুক্রবার পেয়ারাবাগান পিকনিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কাউন্সিলর হুমায়ুনের ছেলে আবিদ খান। পিকনিকের প্রস্তুতি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় কিশোর বয়সী আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে। কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে দুপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের পালবাড়ির বাসায় হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী রুমা বেগমকেও আহত করে তারা। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পালবাড়ি দিকে যাওয়ার পথে দুবৃত্তরা হুমায়ুন কবিরের ওপর হামলা চায়লায়। এসময় তাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা।
এতে তার বাম হাতের কব্জি দুভাগ হয়ে যায়। আহত কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খানকে প্রথমে ঝালকাঠী হাসপতালে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাত দেরটার দিকে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এব্যাপারে হুমায়ুনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ৪নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফের ভাই ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াস শরীফ ও জামাল শরীফসহ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে হামলা চালানো হয়। পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে কাউন্সিলর ও তার পবিরারের সদস্যদের। সেইসঙ্গে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বসতঘরে।
এ বিষয়ে জামাল শরীফ বলেন, ঘটনার সময় তিনি তার বরিশালের বাসায় অবস্থান করছিলেন, সেখানে থেকে তিনি ঘটনা শুনেছেন। অন্যরাও বলছেন এঘটনার সঙ্গে তারা মোটেই জড়িত নয়। তাদের পারিবারিক রাজনীতিতে যত মামলা হয় তিনি বরিশাল বা অন্য কোথায় থেকেও সরাসরি আসামী হচ্ছেন, এটা দুখজন।
কাউন্সিলর কামাল শরীফ বলেন, এলাকায় যত ঝামেলা ঘটুক না কেনো সব সময় হুমায়ুন কবির গংরা আমাকে এবং আমার ভাইদেরকে দোষারোপ করে আসছে। কাউন্সিলর হিসেবে আমার কাজে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। হুমায়ুন কবিরকে যেভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এটা কখনোই কাম্য নয়।
আমি বা আমার কোনো ভাই এঘটনায় জড়িত থাকলে সকল বিচার মাথা পেতে নিবো। কিন্তু যারা এধরণের ন্যাক্কারজনক কাজ করে আমাদের উপর মিথ্যে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক। আমি কাউন্সিলর হিসেবে এলাকায় শান্তি চাই।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ খলিলুর রহমান বলেন, ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কারা ঘটিয়েছে তার কোনো প্রমাণ এখনো পাইনি। অজ্ঞাত দুবৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।