টি-টোয়েন্টি সিরিজে নজর সাকিবের

ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের নবীন সদস্যের বিপক্ষে হেরে স্বভাবতই হতাশ বাংলাদেশ। যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই হার ভুলে সামনের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নজর দিতে চান।
বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা ছিল না কোনোভাবেই। ড্র’ই হতে পারতো জয়ের সমান। বৃষ্টির আশীর্বাদে সাকিবদের পক্ষেই যাচ্ছিল চট্টগ্রাম টেস্ট। কিন্তু পঞ্চম দিনের শেষ বিকেলে বৃষ্টি থেমে খেলা শুরু হলে ইতিহাস গড়ায় সুযোগ হয় আফগানিস্তানের। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় টেস্টে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশকে তারা হারিয়েছে ২২৪ রানে।
ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক পিচ বানিয়ে উল্টো আফগানিস্তানকে সহয়তা দিয়েছে বাংলাদেশ! দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া রশিদ খানের ম্যাচে ১১ উইকেট। বিপরীতে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান হলো ৫২। প্রায় ২০ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার মেনে নেওয়াটা সত্যিই কঠিন। সাকিব কতটা হতাশ, সেটা পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কথা বলার সময়ই তার চোখেমুখে ফুটে উঠছিল।
চট্টগ্রাম টেস্টের ব্যর্থতা নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের বক্তব্য, ‘আমার মতে, আমাদের ব্যাটসম্যান ও আফগানিস্তানের বোলিংয়ের একটা সংমিশ্রণ ঘটেছে এই টেস্টে। ভালো ও ধারাবাহিক দল হতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করা জরুরি। ২০ বছর ধরে খেলার পর তো আর বলতে পারি না যে, আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’
প্রায় ৬ মাস পর প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরের পর লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেটে নামা হয়নি টাইগারদের। হারের একটা কারণ হিসেবে এই ‘বিরতি’কে সামনে আনলেও আফগানিস্তানের পারফরম্যান্সকে খাটো করেননি সাকিব, ‘অনেকদিন পর আমরা টেস্ট খেলতে নেমেছিলাম, তবে আফগানিস্তানকে ক্রেডিট দিতেই হবে।’
এই হার নিয়ে পড়ে থাকতে চান না সাকিব। জিম্বাবুয়ে ও আফগানদের নিয়ে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে নজর দিতে চান এই অলরাউন্ডার, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই ম্যাচ ভুলতে হবে এবং নজর দিতে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এই ফরম্যাটে (টি-টোয়েন্টি) আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। সামনের বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই টি-টোয়েন্টিতে নজর দেওয়াটা জরুরি।’