টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার সত্যতা মিলেছে

টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার সত্যতা মিলেছে

টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক যে নিজেই নিয়ম ভেঙেছেন এবং ঘটনা নিয়ে ‘অসত্য তথ্য’ দিয়েছেন, সে বিষয়েও নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।

তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রল-তেজগাঁও) স্নেহাশীষ কুমার দাস শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

লতা সমাদ্দার ঢাকার তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক। টিপ পরায় পুলিশের হেনস্তার শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে গত ২ এপ্রিল শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

সেই খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি জাতীয় সংসদেও হেনস্তাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।

দুদিন পর কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করার পাশাপাশি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। সেই সঙ্গে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

নাজমুল তারেক নামের ওই কনস্টেবল ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রোটেকশন বিভাগের কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন এবং পরদিন দায়িত্ব পালন করলেও তিনি কর্তৃপক্ষকে বলেননি যে ফার্মগেটে এক নারীর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ানো পুলিশ সদস্যটি তিনি নিজে। অথচ তাকে শনাক্ত করার জন্য পুলিশ ওই এলাকার সব সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ করছিল।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল দাবি করেছিলেন, ঘটনার সময় মোটরসাইকেলের পেছনে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বসা ছিলেন। তার গায়ে ধাক্কা লাগায় নাজমুল তর্কে জড়িয়েছিলেন লতার সঙ্গে।

কিন্তু পরে সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই সময় মোটরসাইকেলে নাজমুলের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন না, ছিল একটি ব্যাগ। তিনি উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, মাথায় হেলমেটও ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সে সময় প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।